সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রৌঢ়ের আত্মহত্যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার মামুদপুরে। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তি এনআরসির আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। আবার অনেকে মনে করছেন পারিবারিক অশান্তির জেরেই প্রাণ গিয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: NRC-র নথিতে একাধিক ভুল, দুশ্চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত যুবক]
মৃত ব্যক্তির নাম কালাচাঁদ মিদ্দা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার মামুদপুরের ওই বাসিন্দা শনিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সাতসকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। রবিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাঁশবাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, জরি কারখানার শ্রমিক কালাচাঁদবাবু বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পারিবারিক অশান্তিও ছিল । সেকারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে এদিন সকালে গুজব রটে যায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জির জন্য নিজের ও পরিবারের পরিচয়পত্র জোগাড় করতে না পারার আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন কালাচাঁদ। জেলার পুলিশ কর্তারা জানান, কেউ কেউ এধরনের গুজব ছড়িয়ে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। এই গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে, কালাচাঁদবাবুর মৃত্যু এনআরসির কারণে নাকি নেহাতই পারিবারিক অশান্তির জেরে তা স্পষ্ট নয়। এই মৃত্যুর পিছনে এনআরসি আতঙ্ক জড়িয়ে আছে, এমন অভিযোগ মৃতের পরিবারের কেউ করেননি। তাতেও আতঙ্ক কমছে না স্থানীয়দের। অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার উপর রেশন কার্ড এবং ভোটার কার্ডে সংশোধনী শুরু হওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যাও করেছেন। তাই, কালাচাঁদবাবুর মৃত্যুর পিছনে এনআরসি আতঙ্কের গুজব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
[আরও পড়ুন: ভুলে ভরা পরিচয়পত্র সংশোধনে সমস্যা, NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী যুবক]
এদিকে রবিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শওকত মোল্লার নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার শহরে এনআরসির বিরুদ্ধে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল হয়। ডায়মন্ড হারবার ১ ও ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অনেক নেতাই সেই মিছিলে অংশ নেন। পরে স্টেশন মোড়ে এক প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস।
The post ফের এনআরসি আতঙ্কে মৃত্যু! ফলতায় প্রৌঢ়ের আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য appeared first on Sangbad Pratidin.
