shono
Advertisement

কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা-সহ একাধিক দাবি, পুরুলিয়ায় উদ্ধার মাওবাদী পোস্টার-ব্যানার

রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও উঠেছে পোস্টারে।
Posted: 01:09 PM Nov 30, 2020Updated: 02:47 PM Nov 30, 2020

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে মাওবাদীরা পোস্টার দিল পুরুলিয়ায় (Purulia)। সোমবার সকালে বরাবাজার এবং বান্দোয়ানের বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালে, দোকানের সামনে এসব পোস্টার চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ছড়িয়ে পড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। খবর পৌঁছয় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা এসে পোস্টার, ব্যানার খুলে নেন। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

২ থেকে ৮ ডিসেম্বর – পিএলজি’র ২০ তম বর্ষপূর্তিতে এক সপ্তাহব্যাপী দলীয় কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)। সেইসঙ্গে আরও নানা দাবিতে ভরা পোস্টার, ব্যানার, প্রচারপত্র পাওয়া গেল পুরুলিয়ায়। সোমবার সকালে বিভিন্ন জায়গায় বাংলা ও হিন্দি ভাষায় ছাপানো, হাতে লেখা পোস্টারগুলি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দেরই। কোনওটা বাড়ির দেওয়ালে সাঁটানো, কোনওটা দোকানের সামনে টাঙানো, কোনওটা আবার মাঠে ফেলে রাখা।

[আরও পড়ুন: শিয়রে ভোট, ঘরে ঘরে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে এ সপ্তাহেই চালু ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি]

পোস্টারে রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবির পাশাপাশি কেন্দ্রের নয়া কৃষিনীতির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এভাবে ভারতের কৃষি ব্যবস্থাকে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও পোস্টারে লেখা। প্রতিটি পোস্টার বা ব্যানারের নিচেই দলের নাম লেখা আছে। ফলে এই কাজ যে মাওবাদীদেরই (Maoist), সে বিষয় প্রায় নিশ্চিত পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: সম্প্রীতির নজির আসানসোলে, হিন্দু বৃদ্ধের শেষকৃত্য সারলেন মুসলিমরা]

বরাবাজার, বান্দোয়ানে এতগুলো পোস্টার দেখে স্বভাবতই স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আশেপাশে মাওবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এর ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়িতেও মাওবাদীদের পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল। স্থানীয়দের অনুমান, বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলকে ফের অশান্ত করার চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। এদিন সকালে পুরুলিয়ার ঘটনা জানার পর পুলিশ পোস্টারগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই তা দেখছে রাজ্য পুলিশ। ঘটনাস্থলে তদন্তে যান রাজ্য পুলিশের আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) আর রাজশেখরন।

ছবি: অমিত সিং দেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার