সম্যক খান, মেদিনীপুর: চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে ফেরার পথে অপহৃত নার্সিং ছাত্রী। পুলিশি তৎপরতায় প্রায় ছ’ঘণ্টা পর উদ্ধার তরুণী। মেদিনীপুরের ঘটনায় জোর শোরগোল। কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করল, কেনই বা করা হল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মেদিনীপুর নার্সিং কলেজের ওই পড়ুয়ার সঙ্গে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের হাউস স্টাফের সম্পর্ক তৈরি হয়। শুক্রবার তাঁরা দু’জনে ফুলপাহাড়ি ড্যামে বেড়াতে যান। অভিযোগ, সন্ধেয় বাড়ি ফেরার সময় আমরাতলা জঙ্গলে দু’জন তাঁদের পথ আটকায়। তরুণীর চিকিৎসক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর কাছে থাকা মোবাইল এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। এরপর তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
[আরও পড়ুন: সহপাঠিনীকে প্রেম নিবেদনে জোর! না পারায় স্বপ্নদীপকে ‘সমকামী’ বলে মশকরা]
রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওক্রমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। গুড়গুড়িপাল থানায় গোটা ঘটনার অভিযোগ জানান। তরুণীর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় ছ’ঘণ্টা পর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তরুণীর খোঁজ মেলে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। তবে শারীরিকভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি তাঁর। কে বা কারা ওই তরুণীকে অপহরণ করলেন, তা এখনও জানা যায়নি। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
