সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রবিবার তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সোমবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং থেকে সাত কোম্পানির সিআরপিএফ এবং তিন কোম্পানি এসএসবি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তবে পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে। কিন্তু কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[অমিতাভর মৃত্যুর বদলা চাই, গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ফুঁসছে পুলিশ]
গত জুনে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চা সমর্থকদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছিল পাহাড়। মোর্চার বিক্ষোভে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল। জ্বলেছিল আগুন। পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তারপরই মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৩ কোম্পানি এসএসবি রয়েছে। ২০ তারিখের পরেও ওই ৫ কোম্পানি পাহাড়ে থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[‘গুরুং মাথায় গুলি খেলে শান্তি পাবে অমিতাভ’, ডিজির কাছে আরজি বিউটির]
তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই পাহাড়ে গুরুং অনুগামীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের। তাঁর মৃত্যুর ঘা এখনও দগদগে। গত রাতে পাতলেবাসে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গিয়েছে অনেকগুলি বাড়ি এবং মোর্চার পার্টি অফিস। পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বিমলপন্থী নেতা দীপক তামাংকে। এর আগে কালিম্পংয়ের পেডং থেকে বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার-সহ গ্রেপ্তার করা হয় দুই জনকে। প্রায় ১৮০০ রাউন্ড গুলি, ১০০০ ডিটোনেটর, নাইন এমএম পিস্তল, একে-৪৭ পর্যন্ত উদ্ধারের খবর মিলেছিল। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় থেকে ১০ কোম্পানি বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
The post পাহাড় থেকে আচমকা তুলে নেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.
