অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বেলগাছিয়া ভাগাড় সংলগ্ন এলাকায় জমা জলের সমস্যা মেটাতে শুরু হল মাইক্রো টানেলিংয়ের কাজ। কেএমডিএ-র তরফে মাইক্রো টানেলিংয়ের কাজ চলছে জোরকদমে।
বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ভূমিধসের জেরে উত্তর হাওড়ার তিনটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে তীব্র সমস্যার মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে মঙ্গলবার তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। এবার এই জল জমার সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী রবিবার বললেন, "মাইক্রো টানেলিংয়ের কাজ অনেকটাই হয়ে এসেছে। বেলগাছিয়া ভাগাড় সংলগ্ন যেসব এলাকায় জল জমছে মাইক্রো টানেলিংয়ের কাজটা শেষ হলে তা দ্রুত নেমে যাবে।"
উত্তর হাওড়ার ৭, ৮, ও ৯ এই তিনটি ওয়ার্ডে জমা জল সরাতে বামনগাছি সি রোডে মাইক্রো টানেলিং করে জমা জল 'অক্সিডেশন পন্ডে' ফেলা হবে। এই টানেলে একটি ১৫০০ মিলিমিটার ব্যাসের পাইপ তৈরি করা হচ্ছে। এই অক্সিডেশন পন্ডটি একটি রিজার্ভার। এই রিজার্ভারে জল ও বর্জ্য পড়বে। তার পর এই অক্সিডেশন পন্ড থেকে জল পচা খালে চলে যাবে। ২০২২ সালে এই অক্সিডেশন পন্ড কাটা হয়েছিল। এই অক্সিডেশন পন্ডে টানেলিংয়ের মাধ্যমেই তিনটি ওয়ার্ডে জমা জল সরিয়ে ফেলা হবে।
প্রসঙ্গত, বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামার ফলে ভাগাড়ের মূল নিকাশি নালা বুজে গিয়েছে। ফলে ভাগাড়ের নিকাশির জল পাইপে করে ফেলা হচ্ছে উত্তর হাওড়ার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মূল ড্রেনে। ওই মূল ড্রেন দিয়েই ভাগাড়ের নিকাশি নালার জল বার করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মূল ড্রেন থেকে প্রচুর জল যাওয়ায় ওই ড্রেন উপচে পড়ছে। নালার জল ৭, ৮ ও ৯ নম্বর-এই তিনটি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েছে। মাইক্রো টানেলিংয়ের কাজ শেষ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।