shono
Advertisement

টিভি দেখে জানলেন ছেলে চন্দ্রযান মিশনের কারিগর, চোখে জল জলপাইগুড়ির কৌশিকের মায়ের

কৌশিকের মাও জানতেন না যে তার ছেলেও রয়েছে স্বপ্নজয়ীদের দলে।
Posted: 10:43 AM Aug 24, 2023Updated: 12:21 PM Aug 24, 2023

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: মা জানতেন না কিছুই। ফোনে ছেলে শুধু বলেছিল, সন্ধেয় টিভিতে নজর রেখো। বিকেল থেকেই টিভি স্ক্রিনে নজর ছিল মায়ের। সন্ধেয় চাঁদে বিজয়কেতন ভারতের। টিভিতে ভেসে এল ইসরোর বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বাসের ছবি। গোলাপি শার্ট পরা নিজের আত্মজকে চিনতে অসুবিধা হয়নি মায়ের। জয়ের স্থপতিদের মধ্যে রয়েছে তাঁর ছেলেও। টিভিতে ছেলের ছবি দেখে কথা সরছিল না মা সোনালি দেবীর। জলপাইগুড়ির ছেলে কৌশিক নাগের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এল মায়ের। অসাধ্য সাধন করে যখন হাসছেন ইসরোর সকলে ঠিক তখনই নিজের বাসভবনে বসে আনন্দাশ্রুতে ভাসলেন কৌশিকের মা।

Advertisement

বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিট। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ ল্যান্ডার বিক্রমের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের। জয়ের কারিগরদের তালিকায় নাম রয়েছে জলপাইগুড়ির ছেলের। কৌশিকের মায়ের মতো অনেকেই জানতেন না। টিম ইসরোর সদস্যদের উচ্ছ্বাসের ছবি টিভির পর্দায় ফুটে উঠতেই ঘরের ছেলে কৌশিককে চিনতে পেরে হতবাক হয়েছেন তাঁর পরিচিতরা। কৌশিকের মাও জানতেন না যে তার ছেলেও রয়েছে স্বপ্নজয়ীদের দলে।

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে ধূপগুড়িতে ‘বহিরাগত’! আটক ৬ অসমিয়া, উদ্ধার বিপুল নগদ]

 

 

শহর সংলগ্ন এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০১১ সালে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভরতি হয়েছিলেন কৌশিক নাগ। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাস করে ২০১৮ সালে যোগদান দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায়। এর আগে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এরও সদস্য ছিলেন তিনি। সেবারে অল্পের জন্য ফস্কেছিল লক্ষ্য। এবার তা হয়নি। তবে এবার এই প্রোজেক্টে থাকার কথা মাকে-ও আগেভাগে জানাননি কৌশিক। মা জেনেছেন বুধবার সকালে। টিভি স্ক্রিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বাসের ছবিতে গোলাপি শার্ট পরা বছর একত্রিশের কৌশিক নাগকে চিনতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি সহপাঠী, স্কুল কলেজের শিক্ষকদের। মুহুর্তে সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের বর্ধিত মোহন্ত পাড়ায় কৌশিকের বাড়িতেও পৌঁছে যায় শুভেচ্ছাবার্তা।

[আরও পড়ুন: চাঁদের আলোয় ভাসল হুগলি, চন্দ্রযানে ‘চোখ দিয়ে’ ইতিহাস উত্তরপাড়ার জয়ন্তর]

কৌশিকের মা সোনালি দেবী বলেন, “বিকেল পাঁচটা থেকে টিভি খুলে বসে আছি। সন্ধেয় চন্দ্রযান ছুঁল চাঁদের মাটি।” ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আবেগ বশ মানেনি মায়ের। জানালেন,” দেশের জন্য গর্ববোধ হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞে আমার ছেলেরও অবদান রয়েছে, এটা ভেবে আরও ভাল লাগছে।” এদিকে স্কুল কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও কৌশিকের কৃতিত্বে খুশি। কৌশিকের কৃতিত্বে গর্বিত শহর জলপাইগুড়ির বাসিন্দারাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement