সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) রোষের মুখে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা। হোয়াইট হাউসের দেওয়ালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের ছবির নিচে যোগ করা হল তাঁদের সম্পর্কের নির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য। এখানেই দেখা গেল ট্রাম্প সরাসরি তোপ দেগেছেন ওবামা এবং বাইডেনকে।
জানা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল ওয়াক অফ ফেমে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের ছবির নীচে নতুন ফলক ফলক যোগ করেছে হোয়াইট হাউস। এই ফলকগুলিতে তাঁর পূর্বসূরীদের বিষয়ে অবমাননাকর বক্তব্য লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনা দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ওয়াকওয়ের প্রবেশপথে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীটি ট্রাম্পের নিজের, 'কল্পনা করা'। তিনি এগুলি সেইসব পূর্বসূরিদের উৎসর্গ করেছেন যাঁরা দেশের জন্য কাজ করেছেন। তাঁর মতে এই প্রেসিডেন্টরা কাজের নিরিখে, "ভালো, খারাপ এবং এই দু'য়ের মাঝামাঝি কোথাও" অবস্থান করেন।
বুধবার প্রথম জনসমক্ষে আসে এই ফলকগুলিতে। এগুলিতে ট্রাম্পের প্রশংসা করার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান দুই দলের প্রেসিডেন্টদেরই উপহাস করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত এই ফলকগুলির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। নেট নাগরিকরা এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। দেখা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছবির নীচের ফলকে তাঁকে 'ঘুমন্ত জো' লেখা হয়েছে এবং তাঁকে 'আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট' বলা হয়েছে।
জো বাইডেনের নাম লেখা ফ্রেমে একটি অটোপেনের ছবি রাখা হয়েছে। তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট যাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়নি। এখানে ফলকে লেখা হয়েছে তিনি আমেরিকার ইতিহাসের সবথেকে খারাপ প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকাকে প্রায় ধ্বংসের মুখে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
বারাক ওবামাকেও ছাড়েননি তিনি। বারাক ওবামাকে, 'একজন সাম্প্রদায়িক সংগঠক, ইলিনয়ের একবারের সেনেটর এবং আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ফলকটিতে আমেরিকার ৪৪তম রাষ্ট্রপতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ অ্যাফোর্ডেবল কেয়ারকে বিদ্রুপ করে 'অত্যন্ত অকার্যকর আনঅ্যাফোর্ডেবল কেয়ার আইন' বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিদ্রুপের হাত থেকে রেহাই পাননি প্রাক্তন রিপাব্লিকাল প্রেসিডেন্টরাও। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু ছিলেন। ট্রাম্প তাঁর সম্পর্কে খুব কম শব্দ খরচ করেছেন এবং তাঁর অপরাধ সংক্রান্ত সংস্কার, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং ভারসাম্যপূর্ণ বাজেটের জন্য তাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যদিও, তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালে ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন সেই কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের নিজের ফলকে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ফলকে ইলেক্টোরাল কলেজে এক বিরাট জয়ের কথা বলা হয়েছে। এখানে দাবি করা হয়েছে, তিনি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তিনি দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করেছেন, জ্বালানির খরচ কমিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ' এনেছেন বলে দাবি করা হয়েছে এই ফলকে।
মার্কিন প্রেস সচিব জানিয়েছেন, এই ফলকগুলির মধ্যে অনেকগুলি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে লিখেছেন।
