জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: এবার দিলীপের পথে হাঁটলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বসিরহাটের সভা থেকে বুদ্ধিজীবীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। সেইসঙ্গে নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সৌমিত্র খাঁ’র এই মন্তব্যেই শুরু বিতর্ক।
নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। রবিবার বসিরহাটে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। বসিরহাটের কাছারিপাড়া থেকে এই মিছিলে পা মেলান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ দলের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে একটি সভায় যোগদেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। সেখান থেকেই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সুর চড়ান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন। এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে রাস্তায় নামছেন, তাঁরা আদতে বুদ্ধিজীবী নন। তাঁদের বলছি, আপনারা শয়তান। যাঁরা শিক্ষক, তাঁরাই আদতে বুদ্ধিজীবী।” বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য সরকারের থেকে নিয়মিত টাকা পান বলেই তৃণমূলের সমর্থন করে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “যারা পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে চুপ থাকেন, তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া আর কিছু নয়।” সভামঞ্চ থেকেই দিলীপ ঘোষকে সমর্থন করেন তিনি। তাঁর কথায়, “দিলীপ দা যা বলেন, তা ঠিক বলেন, আমি ওঁনাকে পূর্ণ সমর্থন করি।” বিজেপি সাংসদের এদিনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে এনআরসি হবেই, সবাইকে কাগজ দেখাতে হবে’, হুঁশিয়ারি দিলীপের]
অন্যদিকে, বারাকপুরের সভা থেকে বুদ্ধিজীবীদের তীব্র কটাক্ষ করেন সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রতিদিন শহরের রাস্তায় নামছেন তাঁরা আদতে বুদ্ধিজীবী নন। এরা আগে ছিলেন বুদ্ধজীবী, এখন তাঁরা মমতাজীবী। সৌমিত্র খাঁ ও অর্জুন সিংয়ের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন সংস্কৃতি মনস্করা। প্রসঙ্গত, রাজনীতির ময়দানে বাক্যবাণও এক শক্তিশালী অস্ত্র। মন্তব্য, পালটা মন্তব্যকে হাতিয়ার করে লড়াই চালিয়ে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। তবে কুকথার উপর ভর করেও ইদানিং রাজনৈতিক লড়াই চলছে। অনুব্রত মণ্ডল, দিলীপ ঘোষরা বরাবরই তাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এবার কুকথাকেই অস্ত্র করলেন সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং।
দেখুন ভিডিও:
The post ‘ওঁরা তৃণমূলের কুকুর’, বুদ্ধিজীবীদের বেনজির আক্রমণ সৌমিত্র খাঁ’র appeared first on Sangbad Pratidin.
