অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ফুলশয্যার রাত কাটতে না কাটতেই শ্বশুরবাড়িতে নববধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কালনার নাদনঘাট থানার সমুদ্রগড় আদর্শপল্লি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের মৃত্যুর খবর জানান বলেই দাবি নববধূর বাপের বাড়ি। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নাদনঘাটের সমুদ্রগড় আদর্শপল্লির বাসিন্দা রাজু বসাকের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের সাহেববাগানের চন্দ্রা হালদারের বিয়ে হয়। বহরমপুরের এক মন্দিরে বিয়ে হয় তাঁদের। বৃহস্পতিবার ছিল নবদম্পতির ফুলশয্যা। হঠাৎ করে বিয়ে হওয়ায় ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিয়ে খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও করা হয়। তবে শুক্রবার সকালেই তাল কাটল।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট]
বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানান, রাজু সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজের দোকানে চলে যান। রাজুর মা বাসন মাজছিলেন। চন্দ্রা ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শাশুড়ির কাছে জানতে চায়, সে কাপড় ছাড়বে কোন ঘরে? তারপরেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাকাডাকি করেন। দরজায় ধাক্কা দেন। তাতেও সাড়া না মেলায় শেষপর্যন্ত দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন নববধূ।
ফুলশয্যার রাত কাটতে না কাটতেই এই ঘটনায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে মৃতের পরিজনরা। যদিও খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, তড়িঘড়ি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাননি চন্দ্রা। যদিও রাজুর জামাইবাবু স্বপন বসাক জানান, “রাজুর স্ত্রীকে দেখে মনেই হয়নি কোনও সমস্যা আছে। রাজুকে জিজ্ঞাসা করি রাতে স্ত্রীর সঙ্গে কোনও ঝগড়াঝাটি হয়েছিল কিনা? রাজু জানান তেমন কিছুই হয়নি।” এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।
