নব্যেন্দু হাজরা: ছটপুজোর ২ দিন রাজ্য সরকার নাইট কারফিউ (Night Curfew) শিথিলের ঘোষণা করেছিল আগেই। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও উঠল রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। রাতভর ঘুরে ঘুরে চন্দননগর, নদিয়ার বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। বাঙালির আরও এক প্রিয় উৎসব উপলক্ষে ১২ এবং ১৩ নভেম্বর অর্থাৎ জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja) অষ্টমী ও নবমীর দিন নাইট কারফিউতে ছাড় দিল রাজ্য সরকার। ছটপুজোর জন্য ১০, ১১ তারিখ নেই নাইট কারফিউ। আবার ১২, ১৩ নভেম্বরও ছাড়। ফলে ১০ থেকে ১৩ – এই চারদিনই চন্দননগরে রাত জেগে ঠাকুর দেখা যাবে। মঙ্গলবার এই মর্মে নবান্ন (Nabanna) থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর পঞ্চমী। এদিন থেকেই আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য হুগলির এই এলাকার খ্যাতি দেশজোড়া। আজ থেকেই চন্দননগরবাসী মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। রাত জেগে আলোকসজ্জা দেখার ভিড় হয় প্রতি বছর। যদিও অন্যান্য উৎসবের মতই কোভিডবিধি মেনে এবার জগদ্ধাত্রী পুজোও করতে হবে। তবে মণ্ডপ দর্শনে বাধা নেই। মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে তবেই ঠাকুর দেখা যাবে। সকলে যাতে ভালভাবে এই উৎসবে শামিল হতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই অষ্টমী ও নবমী – ২ দিন চন্দননগর ও নদিয়ায় নাইট কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
[আরও পডুন: চরম আর্থিক অনটন, মা-বাবা ও বিবাহিত বোনকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের]
অক্টোবরের শেষে রাজ্যে কোভিডবিধির সময়সীমা বাড়ানোর সময়ই নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ১০ ও ১১ নভেম্বর ছটপুজোর (Chhat puja) জন্য রাজ্যে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড় থাকবে। অর্থাৎ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে না বেরনোর নিয়ম শিথিল করা হয়েছিল। ছটের ঠিক পর জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেও এই ছাড় মিলবে কি না, তা জানতে আগ্রহী ছিলেন পুজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনার্থী – সকলেই। মঙ্গলবার নবান্নের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সেই উত্তর মিলল। তবে গোটা রাজ্যে নয়, চন্দননগর ও নদিয়া অর্থাৎ যে এলাকা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত, সেসব জায়গায় শিথিল রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ।
[আরও পডুন: রয়্যাল বেঙ্গলের চোখে চোখ রেখে সাহসী লড়াই! বাঘের মুখ থেকে সঙ্গীকে ফেরালেন ২ মৎস্যজীবী]
১২ এবং ১৩ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী ও নবমী। এই দু’দিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় এখানে। হুগলির চন্দননগরের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর-সহ নদিয়ার বহু প্রান্তে ঠাকুর দেখার ঢল নামে। আর দশমী অর্থাৎ বিসর্জনের দিনও চন্দননগরে জনসমাগম বেশি হয়। বিখ্যাত আলোর সাজে সৌন্দর্য দেখতে রাতেই পথে নামেন দর্শনার্থীরা। এবারও তার অন্যথা হবে না। বরং ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজো পরপর হওয়ায় ৪ দিনই ঠাকুর দেখায় ছাড় মিলল।