শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বৃহস্পতিবার কাজে বেরিয়ে মেয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। দুশ্চিন্তা বাড়ছিল পরিবারের। রাত কাটতেই সেই দুশ্চিন্তা সত্যি হয়ে উঠল। শুক্রবার সকালে পাশের গ্রামের খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার হল মেয়ের মৃতদেহ। সাতসকালে মেয়ের এমন বীভৎস দেহ দেখে শিউড়ে উঠে সংজ্ঞা হারালেন মা। ধর্ষণের (Rape) পর তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পরিবার ও গ্রামবাসীদের। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কালিয়াগঞ্জের (Kaliagunj) বোঁচাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শংকরপুর গ্রামে বাড়ি ওই যুবতীর। ৩ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির শ্বশুরবাড়ি থেকে ২ সন্তানকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন ওই যুবতী। স্থানীয় হলদিপুর প্লাইউড কারখানায় কাজ করতেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও সাইকেল নিয়ে কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। রাতভর বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। এরপর শুক্রবার সকালে পাশের গ্রামের মাঠে খড়ের গাদার মধ্যে উদ্ধার বছর ছাব্বিশের যুবতীর মৃতদেহ।
[আরও পড়ুন: পাচারকারীকে রুখতে ফের বিএসএফের গুলি, মালদহে জখম এক বাংলাদেশি]
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কে বা কারা জড়িত, সে বিষয় স্পষ্ট নয়। আত্মহত্যা নিয়ে গুঞ্জন-ফিসফাস শুরু হতেই যুবতীর বোনের দাবি, তাঁর দিদি কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য। তাঁর অনুমান, ধর্ষণের পর যুবতীকে খুন করা হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার (SP) সানা আখতার বলেন, ”মৃতদেহের পাশ থেকে সাইকেল, পেস্টিসাইড এসব পাওয়া গিয়েছে। আমরা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।” এই ঘটনা ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।