নব্যেন্দু হাজরা: রসগোল্লা কার? বাংলার না ওড়িশার? দীর্ঘদিন ধরে চলা সেই তর্কে দাঁড়ি টেনে জিতেছিল বাংলা। জিআই তকমা গায়ে চাপিয়েছে জয়নগরের মোয়াও। লাইনে রয়েছে এ রাজ্যের আরও মিষ্টি। তবে শুধু মিষ্টি হলেই তো আর হবে না। বাংলার নোনতা স্ন্যাকসই বা পিছিয়ে থাকবে কেন! এবার জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করছে চানাচুর।
সোমবার চানাচুর ব্যবসায়ী সমিতির তরফে এ খবর নিশ্চিত করেন প্রণব চন্দ্র। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘মিষ্টি উদ্যোগে’র সঙ্গে চানাচুর ব্যবসায়ী সমিতি এদিন যুক্ত হয়ে যায়। জানানো হয়েছে, মিষ্টি উদ্যোগের তরফেই জিআই ট্যাগের (GI Tag) জন্য এই আবেদন করা হবে শীঘ্র। এদিন এক অনুষ্ঠানে চানাচুর সংগঠনের সদস্যরা জানান, ডালমুট, ভুজিয়া, গাঠিয়া ইত্যাদি স্ন্যাকস জাতীয় খাবার অন্য রাজ্যে তৈরি হলেও চানাচুরের মালিক এই বাংলার। এখানেই তৈরি হয়েছিল মুখোরচক এই নোনতা খাবার। সত্তর বছরের পুরনো সংস্থাও রয়েছে রাজ্যে। দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয় এই চানাচুর। তাই চানাচুরের জিআই বাংলারই প্রাপ্য। এমনটাই দাবি সংগঠনের।
[আরও পড়ুন: ঝালমুড়ি বিক্রেতার মেয়ে হাই মাদ্রাসায় প্রথম, পরীক্ষার্থীর সাফল্যে চোখে জল বাবার]
মিষ্টি উদ্যোগের যুগ্ম সচিব (নোনতা) প্রতীক চন্দ্র বলেন, “আমাদের সত্তর বছরের ব্যবসা। সমস্ত রকম গুণমান বজায় রেখেই আমরা আমাদের পণ্য তৈরি করি। চানাচুর বাংলাতেই প্রথম তৈরি হয়। তাই এই জিআই ট্যাগের আবেদন আমরা করছি।”
উল্লেখ্য, দেশের সর্বপ্রথম জিআই রেজিস্ট্রেশন পেয়েছিল বঙ্গেরই এক অনন্য সম্পদ। রসগোল্লার অনেক আগে। প্রথম জিআই নথিভুক্ত বস্তু ছিল বিশ্ববিখ্যাত দার্জিলিং চা। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এই ভূবনমোহিনী চা ২০০৪ সালে জিআই রেজিস্ট্রেশন পায়। এছাড়াও বাংলার ১৩টি বিখ্যাত জিনিস পেয়েছে জিআই রেজিস্ট্রেশন। নকশি কাঁথা, শান্তিনিকেতনের চামড়ার দ্রব্য, লক্ষ্মণভোগ আম, খিরসাপাটি বা হিমসাগর আম, মালদার ফজলি আম, শান্তিপুরের তাঁত, বালুচরী শাড়ি, ধনিয়াখালি শাড়ি, জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা, গোবিন্দভোগ ও তুলাইপাঞ্জি চালের মতো জিনিসগুলি রয়েছে তালিকায়। এবার এই দৌড়ে ঢুকে পড়তে চাইছে চানাচুরও।