ধীমান রায়, কাটোয়া: এলাকা দখল নিয়ে দুই ষাঁড়ের (Bull) ধুন্ধুমার লড়াই। তাতে প্রাণ হারাল একটি ষাঁড়। তবে বিপদে পড়ল বিজয়ী হওয়া ষাঁড়টিও। সে ছুটে যাওয়ার সময় পড়ে যায় হাই ড্রেনে। বেশ কয়েকঘণ্টা ড্রেনে আটকে থাকার পর শনিবার সকালে তাকে উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। কাটোয়া (Katwa) রেলস্টেশনের কাছেই এই ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থল ঠিক কাটোয়া রেলস্টেশন ঢোকার মুখেই। কাটোয়া স্টেশনে নির্মাণ কাজের জন্য টিকিট কাউন্টারের সামনে কিছু বালি জড়ো করা আছে। তার পাশেই ছিল সাদা-কালো রঙের একটি ষাঁড়। ওই চত্বরই ষাঁড়ের বাসস্থান। রাত তখন প্রায় দশটা। বাজারে ভিড়ভাট্টা কম। স্টেশন বাজার এলাকা থেকে একটি লাল রঙের ষাঁড় প্ল্যাটফর্মের সামনে চলে আসে। তারপর সংঘর্ষ (Bull fight)বাঁধে উভয়ের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ‘ছিঃ! এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের]
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানদার ভোলন শেখ বলেন, “লাল রঙের ষাঁড়টি আসার পর প্রথম দু’জন মিলে শিং দিয়ে বালির গাদায় আঘাত করতে থাকে। তারপর দু’জনের মধ্যে লড়াই বেঁধে যায়। আমরা কয়েকজন ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ছাড়ানো যায়নি। লাল ষাঁড়টির গুঁতোয় সাদা ষাঁড়টি যখন পড়ে যায় তখন একটি লোহার খুঁটি ওর মাথায় সজোরে লাগে। তাতেই মারা যায়।” এদিকে ওই ষাঁড়টি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাল ষাঁড়টি ছুটে পালায়।
[আরও পড়ুন: ‘দেউলিয়া’ পাকিস্তানের নাভিশ্বাস, এবার সরকারি কর্মীদের বেতন আটকে দিল সরকার!]
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন শনিবার ভোরের দিকে সার্কাস ময়দান এলাকায় হাই ড্রেনের (Drain) মধ্যে পড়ে আটকে থাকতে দেখা যায় ওই লাল ষাঁড়টিকে। স্থানীয়রা দমকল বিভাগে খবর দেন। দমকল কর্মীরা ষাঁড়টিকে উদ্ধার করে। যদিও তার তেমন আঘাত লাগেনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।