সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হলেও রপ্তানি এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সীমান্তেই আটকে রয়েছে পেঁয়াজ (Onion) বোঝাই পণ্যবাহী ট্রাক। ক্ষতির মুখে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। জানা যাচ্ছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বসিরহাটের (Basirhat) ঘোজাডাঙায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৩০টি লরিতে ৪৫০ টন পেঁয়াজ আটকে রয়েছে। সেখানেই তা পচে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার।
দেশজুড়ে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য। বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে পেঁয়াজের জোগান কমেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে অগ্নিমূল্য হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের সঙ্গে চুক্তি হওয়া মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ এবার দিতে রাজি নয় ভারত সরকার। স্বভাবতই বিপাকে বাংলাদেশ সরকার। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে আজও পর্যন্ত আটকে রয়েছে ট্রাকগুলি। ফলে পেঁয়াজ পচে (Rotten) গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় দুই দেশের বহু ব্যবসায়ী।
[আরও পড়ুন: করোনার দাপটে দেশে একদিনেই মৃত ৫, ভয় ধরাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট, সতর্কবার্তা WHO-র]
এদিকে ভারতের ব্যবসায়ীরা কিছু কিছু ট্রাক থেকে পেঁয়াজ নামিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। কারণ যত সময় যাবে, পেঁয়াজে পচন ততই বাড়বে। বিক্রেতারা বলছেন, এই পেঁয়াজ তাঁরা বাংলাদেশে না পাঠাতে পারলে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে ঘোজাডাঙা আমদানি-রপ্তানি সংস্থার আধিকারিকরা মুখে কুলুপ আঁটছেন। তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞায় ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: কলমের আড়ালে মারণাস্ত্র! বাংলাদেশে ভোটের আগে উদ্ধার মুঙ্গেরি ‘পেন পিস্তল’]
বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর (Land Port)। এখান থেকে বিভিন্ন খাদ্যশস্য বাংলাদেশে রপ্তানি হয় পণ্যবাহী ট্রাকে। এই পরিমাণ পেঁয়াজ সীমান্তে এভাবে দাঁড়িয়ে পচলে আন্তঃবাণিজ্য খাতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হবে। আর সেটাই এখন মূল চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে।
দেখুন ভিডিও: