কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০০/৬ (ভেঙ্কটেশ ৬০, অঙ্গকৃশ ৫০)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১২০ (ক্লাসেন ৩৩, বরুণ ৩/২২, বৈভব ৩/২৯)
৮০ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেকেআর চেয়েছিল ঘূর্ণি পিচ। পছন্দমতো পিচ পেয়েই ফের বিধ্বংসী হয়ে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। নাইটদের (KKR) আঁটসাট বোলিংয়ের সামনে কুঁকড়ে গেল 'রানমেশিন' সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)। বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জিতে আবার প্লে অফের দৌড়ে প্রবলভাবে ফিরে এলেন অজিঙ্ক রাহানেরা।
গত কয়েকদিন ধরে প্রবল ডামাডোল হয়েছে কেকেআরের পিচ ঘিরে। কেকেআরের দাবি মেনে ইডেন পিচে জল দেওয়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হল, বল টার্ন করানোর যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পিচের ঘাস ছেঁটে একেবারে ফ্যাটফেটে করে ফেলেছেন মাঠকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত পিচ দেখে খুশি হয়েছেন নাইট অধিনায়ক রাহানে। টসের সময়ে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাব দিতে বললেন, “পিচ দেখে আমি খুব খুশি। তবে এই পিচে আমরা প্রথমে বল করতে চেয়েছিলাম।”
ব্যাট করতে নেমে ধুঁকতে থাকে কেকেআর ইনিংস। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি’কক। পরের ওভারে আউট সুনীল নারিন। ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে অধিনায়কের সহযোদ্ধা হলেন তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন অঙ্গকৃশ। তিনি আউট হওয়ার পরে সংহারমূর্তি ধারণ করল ভেঙ্কি-রিঙ্কু জুটি। মাত্র ২৯ বলে ৬০ রান এল কেকেআর সহ-অধিনায়কের ব্যাট থেকে। ১৭ বলে ৩২ রানে যোগ্য সঙ্গত করলেন রিঙ্কু। তিন নাইটের দাপটে ২০০ রানের পাহাড় গড়ল কেকেআর।
কিন্তু প্রতিপক্ষ তো 'রানমেশিন' হায়দরাবাদ। ২০০ রানের পুঁজি কি যথেষ্ট হবে নাইট বোলারদের জন্য? প্রশ্ন ছিল কেকেআর ভক্তকুলের মনে। কিন্তু বল হাতেও এদিন ম্যাজিক দেখালেন বরুণ চক্রবর্তীরা। দ্বিতীয় বলেই 'দৈত্য' ট্র্যাভিস হেডকে ফেরান ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার বৈভব আরোরা। ভয়ংকর ফর্মে থাকা ইশান কিষানও তাঁর শিকার। উলটো দিক থেকে চাপ বাড়ালেন হর্ষিত রানাও। তিনি তুলে নিলেন অভিষেক শর্মাকে। দুই পেসারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই হায়দরাবাদ দুর্গে হানা দিল নাইটদের স্পিন আক্রমণ। হেনরিক ক্লাসেনের একার লড়াই কোনও কাজে আসেনি। ২২ রানে তিন উইকেট বরুণের। ১ উইকেট পেলেন নারিনও। জোড়া উইকেট গেল আন্দ্রে রাসেলের ঝুলিতে। ৮০ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে উঠে এল কেকেআর।