shono
Advertisement
Ashoknagar

পড়ুয়া মাত্র ১, যত্ন করে পড়িয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হারানো শ্রী ফেরাতে মরিয়া শিক্ষকরা

এই ছবি অশোকনগরের নাগরিক শিক্ষা সংঘ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 06:07 PM Dec 17, 2024Updated: 06:11 PM Dec 17, 2024

অর্ণব দাস, বারাসত: একসময় শতাধিক পড়ুয়ায় গমগম করত স্কুল। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খাতায়কলমে ৬। তবে নিয়মিত আসে একজনই। তাকেই যত্ন সহকারে পড়িয়ে স্কুলকে আগের অবস্থায় ফেরাতে সচেষ্ট প্রধান শিক্ষিকা ও একজন সহকারী শিক্ষক। স্কুলের নাম নাগরিক শিক্ষা সংঘ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। ১৯৫২ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। একসময় এই প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করে অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত। সেই সময় ছাত্রছাত্রীদের হুল্লোড়ে গমগম করত স্কুল প্রাঙ্গণ। কিন্তু কালের নিয়মে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রী কমতে কমতে বর্তমানে শুধুই নীরবতা।

Advertisement

কিন্তু কেন এমন চিত্রবদল? স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষার সুবিধা থাকায় অভিভাবকরা সেই দিকেই ঝুঁকছেন। এছাড়াও অশোকনগর এলাকায় তৈরি হয়েছে একাধিক সরকারি ইংরেজি মাধ্যম। সেগুলির পরিকাঠামো অনেক উন্নত। তাই বর্তমানে দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকার স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে অনীহা দেখাচ্ছে মা-বাবারা। তাই এই অবহেলা। বর্তমানে স্কুলের চারপাশ ভরে গিয়েছে আগাছায়। স্কুলে মাত্র চারটি শ্রেণিকক্ষ। ছাত্রছাত্রী না থাকায় অফিস রুমেই কোনওরকমে চলে ক্লাস। বাকি ঘরগুলি ব্যবহার না হওয়ায় তালাও খোলা হয় না। এসব নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই এলাকাবাসীর। তাঁরা চান দ্রুত স্কুলটি আগের অবস্থায় ফিরুক।

স্থানীয় বাসিন্দা গুপি মজুমদার বলেন, "স্কুলটি ছিল অশোকনগরের গর্ব, কিন্তু এখন এই পরিস্থিতি কেন তা নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সচেতন হওয়া দরকার। ওঁদের উচিত আরও বেশি করে প্রচার করা।" সেই আশা বাঁচিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মিত একজন পড়ুয়া মিড ডে মিলের খাবার নেয়। মাঝেমধ্যে বাকি ছাত্রছাত্রীরাও আসে। তাও হাতে গুনে ৫ থেকে ৬ জন। তবে একজন হোক বা ৬ জন, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকেই যত্ন নিয়ে পড়ান প্রধান শিক্ষিকা লিলি দাস ও সহকারী শিক্ষক প্রসেনজিৎ ঘোষ। লিলি দাসের কথায়, "আমরা শিক্ষাদপ্তরে বারেবারে বলেছিলাম শিক্ষক দেওয়ার জন্য। পড়ুয়া টানতে এলাকায় এলাকায় প্রচারও করেছি। কিন্তু অভিভাবকরা অনীহা প্রকাশ করেন। আমরাও চাই, বিদ্যালয় আগের অবস্থায় ফিরে আসুক।" বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অশোকনগরের নাগরিক শিক্ষা সংঘ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শ্রীহীন দশা।
  • মাত্র একজন পড়ুয়া আসে রোজ, তাকেই যত্ন করে পড়ান শিক্ষকরা।
  • স্কুলের পুরনো চেহারা ফেরাতে তৎপর শিক্ষকরা।
Advertisement