shono
Advertisement

খাদিকুল কাণ্ডে গ্রেপ্তারির পরও বাজির কারবার, দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মৃত্যু মালিক কেরামত আলির

মৃত্যু হয়েছে কেরামতের ছেলেরও।
Posted: 07:01 PM Aug 27, 2023Updated: 07:38 PM Aug 27, 2023

অর্ণব দাস, বারাসত: এগরা বিস্ফোরণের পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাতেও বন্ধ করেননি ব্যবসা। জামিনে মুক্ত হতেই দত্তপুকুরে বেআইনিভাবে চালাচ্ছিলেন ব্যবসা। তবে শেষরক্ষা হল না। দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মৃত বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি ও তাঁর ছেলে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের।

Advertisement

রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক পড়ে দেহাংশ। এতটাই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে যে দেহ উঠে যায় বাড়ির চালেও। সেই ঘটনাতেই উঠে আসে কেরামত আলির নাম। জানা যায়, তিনিই দত্তপুকুরে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চালাতেন। এলাকাবাসীরা বিরোধিতা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। সেই বাজি কারখানাই কাড়ল কেরামত আলির প্রাণ।

[আরও পড়ুন: মাটিগাড়া ধর্ষণ ও খুন: মৃতার বাড়িতে রাজ্যপাল ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, কথা পরিবারের সঙ্গে]

প্রসঙ্গত, বহুবছর ধরে বেআইনি বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কেরামত আলি। এগরার খাদিকুল বিস্ফোরণেও জড়িয়েছিল তার নাম। গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হন। এরপর ফের দত্তপুকুরে শুরু করেন কারবার। রবিবার সকালে সেই কারখানাতেই ঘটল বিস্ফোরণ। প্রাণ গেল ৭ জনের। তার মধ্যেই ছিলেন সপুত্র কেরামত। মৃতদের মধ্যে কয়েকজন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলেই অনুমান পুলিশের। তারা এই বাজি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত বলেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করেছে গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, “আপাতত উদ্ধারকাজের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাকি মৃতদেহ শনাক্তকরণ চলছে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।”

[আরও পড়ুন: ঋণের টাকা মেটাতে না পারায় বাবাকে ‘মার’ দুষ্কৃতীদের, বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement