স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ রাজ্যকে চিঠি লিখল নবান্ন৷ ভোটের জন্য বাহিনী চেয়ে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও তেলেঙ্গানা সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ভিন রাজ্য থেকে আনা বাহিনীকে কেবল ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে রাখা হবে বলেও শনিবার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ৷ এছাড়াও নিরাপত্তা ইস্যুতে আজ রাজ্যের ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ এক দফা নির্বাচনে সুরক্ষা ব্যবস্থা কেমন হতে চলেছে তা কমিশনের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
[হস্টেল-ক্যান্টিনে কোথা থেকে আসছে মাংস, যাচাইয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ]
মনোনয়নের উদাহরণ তুলে ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটে নিরাপত্তার আয়োজন করতে হবে। সেইমতো এদিন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসল কমিশন। এনিয়ে হাই কোর্টেও রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এদিকে, আজই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে নির্বাচনের দাবি জানায় বিরোধীরা। হাই কোর্টে এনিয়ে একাধিক মামলা চলছে৷ কিন্তু ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ৷ তিনি শুক্রবার নবান্নে বলেন, “রাজ্য পুলিশের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যথেষ্ট বাহিনী রয়েছে। তবু চার-পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে, বাড়তি পুলিশ পাওয়া যাবে। শান্তিতে ভোট হোক। সমস্ত বন্দোবস্ত থাকবে। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একজন করে সশস্ত্র রক্ষী থাকবেন। আমরা চাই শান্তিতে ভোটপর্ব শেষ হোক। সবার সহযোগিতা চাই।”
[চিকেন আতঙ্কে দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রীরা, চিন্তিত আইআরসিটিসি]
পাঁচ রাজ্যকে বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৪৩ হাজার ৮৭টি। বুথ রয়েছে ৫৮ হাজার ৪৬৭টি। একটি কেন্দ্রে থাকে একাধিক বুথ। রাজ্যের হাতে ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকে মিলবে প্রায় ১২ হাজার পুলিশ। এর উপর ভিনরাজ্যের বাহিনী ঢুকলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয় বলে দাবি নবান্নের৷
The post পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় বাহিনী চেয়ে পাঁচ রাজ্যকে চিঠি নবান্নের appeared first on Sangbad Pratidin.
