সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলডাঙায় প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিলান্যাস করলেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। আর এহেন কর্মসূচি ঘিরে চরম ভোগান্তির মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরা। কার্যত অবরুদ্ধ ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। পর পর দাঁড়িয়ে একের পর এক গাড়ি, বাস। একেবারে তীব্র যানজট। এই অবস্থায় বহু মানুষকে সাত-আট কিমি পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে খবর। তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়কের কর্মকাণ্ডে একেবারে নাজেহাল জনজীবন। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, ''বাংলায় কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ তাঁদের কোনও জায়গায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা বা তাঁদের ধর্মের কোনও আরাধনা, প্রার্থনা জায়গা করতেই পারেন। তার জন্য তাঁকে বহিস্কার বা তাঁর প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে না। এটা তৃণমূল কংগ্রেস করেনি এবং করবেও না।'' তবে ধর্মের মোড়কে রাজনীতির অঙ্কে ভোট রাজনীতি করলে সেটা ধর্মের মধ্যে থাকে না বলে মন্তব্য কুণাল ঘোষের। তাঁর কথায়, ''যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের ফাঁদে পড়ে, প্ররোচিত হয়ে, ধর্মের মোড়কে, রাজনৈতিক অঙ্কে সেই ধর্ম কেন্দ্রিক কোনও ইভেন্টকে দিয়ে ভোটের রাজনীতির বিষাক্ত মেরুকরণের মায়াজাল তৈরি করতে চান কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, দল বিরোধী কাজ করেন, দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি ধর্মের মধ্যে থাকে না।''
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের আরও মন্তব্য, ''তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেকটি মানুষের ধর্ম এবং অধিকারকে সম্মান করে।'' এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রবিবার ব্রিগেডে গীতাপাঠ কর্মসূচি নিয়েও মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। নাম না করে হুমায়ুনকে (Humayun Kabir) কার্যত আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ''কেউ যদি বলে অমুক তৈরির জন্য ব্যবস্থা, তা একেবারেই মিথ্যা। মন্দির, মসজিদ, গির্জা কিংবা আরাধ্য স্থান তৈরির জন্য ব্যবস্তা নেয়নি, নেবে না।''
মিছিল করে অনুষ্ঠানস্থলে আসছেন উৎসুকরা, ৬ ডিসেম্বর, বেলডাঙা
বলে রাখা প্রয়োজন, যেখানে এই কর্মসূচি হচ্ছে, সেখান থেকে জাতীয় সড়ক খুব একটা বেশি নয়। ফলে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বহু মানুষ জাতীয় সড়কের উপর নেমে আসেন। এর ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। কলকাতামুখী রাস্তার উপরেই একের পর এক গাড়ি আটকে পড়ে। এই অবস্থায় সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে থাকছে আশঙ্কা। যদিও শিলিগুড়িমুখী লেনে যানজট কিছুটা কম রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
