সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফের আক্রান্ত পুলিশ! পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তুলকালাম! গ্রামবাসীদের ছোড়া ইটে আক্রান্ত ডিসি অভিষেক গুপ্ত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যুবককে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পল্লব। বয়স ২২ বছর। বাড়ি পাণ্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি গ্রামে। ওই যুবকের সঙ্গে পাশের পাড়ার এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বৃহস্পতিবার সকালে ওই মহিলার বাড়ি থেকেই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে বাড়ির লোককে না জানিয়েই পুলিশ দেহ নিয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একাধিক সাইকেল মোটরসাইকেল ও ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিসি অভিষেক গুপ্তা। গ্রামবাসীদের ছোড়া ইটে তাঁর কপাল ফেটে যায়। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ। এরপরই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও পালটা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আশেপাশের থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
এদিকে যুবকের মৃত্যু হল কী করে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পল্লবের পাশের পাড়ার এক বিবাহিত মহিলার সম্পর্ক ছিল। বুধবার রাতে যুবক চুপিসারে ওই মহিলার বাড়ি যান। অভিযোগ, মহিলার স্বামী বিষয়টি দেখে ফেলে ওই যুবককে আটকে রাখেন ঘরের মধ্যে। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকেই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যুবকের রহস্যমৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন উঠতে। তদন্তে পুলিশ।
আক্রান্ত আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, "যুবকের মৃতদেহ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। গ্রামবাসীদের আমরা বুঝিয়েছি উত্তেজনা করে লাভ হবে না। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। অনেকেই বিষয়টি বুঝেছে। ঘটনায় চারজন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।" পাশাপাশি বাড়ির লোককে না জানিয়ে দেহ উদ্ধার করার কথা নাকজ করে তিনি জানিয়েছে, "পুলিশ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এটাই প্রথম কাজ। তাছাড়া আর কিছু হয়নি।"