অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোট করা নিয়ে প্রথমেই ধাক্কা বিরোধীদের। রবিবার দার্জিলিংয়ের জিডিএনএস প্রেক্ষাগৃহে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিজেপি (BJP)। পাশাপাশি সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় হামরো পার্টি ও সিপিআরএমকে। তবে বৈঠকে যোগ দেয়নি জিএনএলএফ (GNLF)। শুধু তাই নয়, সভায় হাজির ছিল না কোনও শীর্ষ স্থানীয় নেতা। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নোমান রাইয়ের অবশ্য সাফাই, “জিএনএলএফের নিজের বৈঠক ছিল, তাই তারা আসেনি। এটা প্রাথমিক আলোচনা, তাই শীর্ষস্থানীয় নেতারাও আসেননি।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পাহাড়ের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সর্বদল বৈঠকের আয়োজন করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GNLF)। যদিও সভায় মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং কিংবা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি কেউ ছিলেন না। কিন্তু তাঁদের দলের প্রতিনিধি নোমান রাই সব দলকে নিয়ে সভা করেন। তাঁদের লক্ষ্য, অনীত থাপার বিজিপিএম-তৃণমূল বিরোধী জোট করা। তাই নিয়েই এদিন আলোচনা হয়। কিন্তু জিএনএলএফ না আসায় প্রথমেই ধাক্কা খায় বিরোধী জোট তৈরির প্রক্রিয়া। তবে এদিন জোটের পক্ষে সায় দেন উপস্থিত সব দলের নেতাই। কিন্তু জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এদিনের সভায় যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা দলের নেতাদের জানানো হবে। এরপর আবারও তারা আলোচনায় বসবে।
[আরও পড়ুন: শামির সঙ্গে জমে উঠেছে প্রীতির কেমিস্ট্রি? দুই তারকার ছবি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে জল্পনা]
বৈঠক শেষে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নোমান রাই বলেন, “একসঙ্গে লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে শেষ কথা দলের সুপ্রিমো জানাবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোর্চা।” তবে পাহাড়ে অনীত-সহ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে লড়াই যে একসঙ্গেই হবে, তা কার্যত খানিকটা পরিষ্কার করে দেন দার্জিলিং জেলা (পাহাড়) বিজেপি সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান। তিনি বলেন, “বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। নির্বাচন জেতার জন্য একসঙ্গে লড়াই করাই শ্রেয়। তবে বিজেপির জোট সঙ্গী জিএনএলএফও তাই দলের অন্দরে আলোচনা ছাড়াই এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”
[আরও পড়ুন: আজানের সুর বাজুক লাউডস্পিকারেই, রমজান মাসে বেনজির সিদ্ধান্ত মার্কিন শহরে]
এদিকে জিটিএ প্রধান অনীত থাপা (Anit Thapa) এই জোটকে কটাক্ষ করতে পিছপা হননি। তিনি বলেন, “পাহাড় এখন উন্নয়নের পক্ষে। তাই কেউ যদি ভাবে জোট করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে লড়াই তাহলে তারা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছে। পাহাড়বাসী আমাদের সঙ্গেই আছে।”