shono
Advertisement

বনধে মিশ্র প্রভাব বসিরহাটে, ভ্যাবলায় রেল অবরোধ বিজেপি কর্মীদের

সকাল থেকেই থমথমে এলাকা।
Posted: 08:58 AM Jun 10, 2019Updated: 08:58 AM Jun 10, 2019

নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট:  বিজেপির ডাকা বনধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে বসিরহাটে। সকালে সন্দেশখালির ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বসিরহাটের একাধিক জায়গায় রেল ও পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বন্ধ এলাকার অধিকাংশ দোকান, সকাল থেকেই থমথমে এলাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শ্যামপুরের বেহাল কাঠের সেতু নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া]

২ বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত বসিরহাট। রবিবার সকালেই সন্দেশখালি যান বিজেপির প্রতিনিধিদল। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিমতলা ঘাটে সৎকারের উদ্দেশে কর্মীদের দেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন রাহুল সিনহারা। কিন্তু, নিরাপত্তার খাতিরে মালঞ্চ মোড়ে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। কোনওক্রমে সেখান থেকে বের হতে পারলেও, ফের মিনাখাঁয় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি প্রতিনিধিদের। সেখানে পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর মিনাখাঁয় রাস্তার উপরেই দেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত দেয় বিজেপি। সেই মতো রাস্তার উপর চিতা সাজাতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা।

[আরও পড়ুন:  ‘আগে মনকে গেরুয়া করতে হবে’, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান আটকে দিলেন বাবুল]

বেশ কিছুক্ষণের পুলিশ-বিজেপি কাজিয়ার পর বাধ্য হয়ে পিছু হটে বিজেপি। সন্দেশখালিতেই ফেরানো হয় দেহ। সেখানেই রাতে সৎকার করা হয়। এদিনই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সোমবার বসিরহাটে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সেইসঙ্গে সোমবার রাজ্য জুড়ে কালাদিবসের ডাক দেওয়া হয়। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে বসিরহাট এলাকা। সকাল ৭টা নাগাদ ভ্যাবলা স্টেশনে অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এর জেরে ব্যাহত হয় হাসনাবাদ-শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার পরেই উঠবে অবরোধ। পাশাপাশি, হাসানাবাদ থানার কালিবাড়ি এলাকায় পথ অবরোধও হয়। অবরোধের জেরে সপ্তাহের শুরুতেই ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। বন্ধ  এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটও। তবে বনধের প্রভাব ঠিক কতটা পড়ল, তা স্পষ্ট হবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement