সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শহর পুরুলিয়ায় (Purulia) সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় এবার জেলের অন্দরে তদন্ত করতে যাবে সিট (SIT)। এই ঘটনায় ঝাড়খন্ডের ধানবাদ জেলার সুদামডি থেকে ধৃত করণজিৎ সিং সিধুর কাছ থেকে এই ঘটনায় গঠিত সিট (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ) জানতে পারে, জেলে বসেই পুরুলিয়া ও রানাঘাটে সোনার দোকানের ডাকাতির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। সেই মাস্টারমাইন্ডকে জেরা করতেই সিট খুব শীঘ্রই রওনা দিচ্ছে।
তবে ওই মাস্টারমাইন্ড কোন জেলে রয়েছে? তার নাম কী? বাড়ি কোথায়? এই বিষয়গুলি তদন্তের স্বার্থে কিছুই জানাতে চাইছে না পুলিশ। তবে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ওই মাস্টারমাইন্ড ঝাড়খন্ডের জেলে আছে।পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “তদন্তের স্বার্থে ওই মাস্টারমাইন্ডের বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলব না।”
[আরও পড়ুন: সরকারি দপ্তরে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ, তিন গুণ করা হল ভাড়া]
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ওই অপরাধের ‘গ্যাং লিডার’-সহ মোট পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এই ঘটনার অন্যতম কিংপিন ধৃত করনজিৎ সিং সিধুর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সিট। তাকে জেরা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই ডাকাতির লাইভ অপারেশনের ডিভিআর প্রমাণ লোপাটের জন্য ঝাড়খন্ডে যাওয়ার পথে সেচ কুয়োতে ডাকাত দল ফেলে দিলে তা উদ্ধার হয়। সেই ডিভিআর শনাক্ত করে করনজিৎ। তার কাছ থেকে এবং ডাকাতির অপারেশন সেরে পালিয়ে যাওয়ার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ‘গ্যাং লিডার’ ওমপ্রকাশ প্রসাদ ওরফে গুড্ডুকে আগেই চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।
সম্প্রতি সে বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানায় থাকায় একটি গাড়িতে থাকা মাদক কোডেন মিক্সার সমেত তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিট। বিশেষ করে মাস্টারমাইন্ডের সম্বন্ধে যে তথ্য মিলেছে তাতে জেলে বসে এই অপারেশনের নীল নকশা সাজানো অপরাধীকে খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিতে পারবে সিট। এমনই মনে করছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।