সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জেলা পরিষদের সভাধিপতির আবাসন থেকে শুরু করে যুব-আবাস, সার্কিট হাউস, পূর্ত দপ্তর, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অফিস সর্বত্রই কিলবিল করছে এডিস মশার লার্ভা। পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর তা খুঁজে বার করার পর বিপদ থেকে বাঁচতে কী করতে হবে তাও বাতলে দিয়েছে। ডেঙ্গুর আতঙ্কে বাংলো ছাড়া সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ডেঙ্গুর ভয়ে বাংলোছাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা সভাধিপতির সাফাই, কাজের জন্য বাংলোর বাইরে আছেন।
[আরও পড়ুন:বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী]
জেলা পরিষদের সভাধিপতির আবাসন, যুব আবাস, পূর্ত দপ্তর এমনকি সার্কিট হাউসে বিকেলের দিকে পা রাখলেই হাজার-হাজার মশা যেন ছেঁকে ধরছে। আর বিকেলের দিকেই এই এডিস মশা ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে তা অজানা নয় কারও। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।
ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চোদ্দয়। তার মধ্যে পুরুলিয়া শহরে সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি। যদিও ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবছর অনেক আগেই মাঠে নেমেছিল জেলা প্রশাসন। সরকারি দপ্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেন অফিসগুলি নিয়মিত সাফাই করা হয়। কিন্তু তা যে হয়নি এডিস মশার লার্ভাই তার প্রমাণ। যদিও পুরসভার তরফে মশা মারার স্প্রে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সিএমওএইচ গুরুদাস পাত্র বলেন, “ডেঙ্গুর বিপদ কোথায় লুকিয়ে আছে সেটা আমরা বের করে দিতে পারি। এই বিপদ থেকে বাঁচতে কী করতে হবে, সেটা বলেও দিতে পারি। কিন্তু এর মোকাবিলা পুরসভাকেই করতে হবে। প্রয়োজনে এলাকার বাসিন্দাদের এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন হতে হবে।” পুরুলিয়া পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, “ডেঙ্গু রুখতে শহর জুড়ে আমরা একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি। তাই আগের মত এবছর রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। গত বছর যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছিল, সেখানে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৪।” এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান শামিম দাদ খান বলেন, “সভাধিপতির আবাসনে এডিস মশার লার্ভার খবর পেতেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে অন্যান্য দপ্তরগুলির বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”
[আরও পড়ুন:ভিনরাজ্যে বিক্রির ছক দাদু ও মাসির! তেহট্টে কিশোরী অপহরণকাণ্ডে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, সভাধিপতির কাছে একাধিক দপ্তরে এডিস মশার উৎপাতের খবর পৌঁছতেই তিনি জেলা পরিষদের আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সভাধিপতির কথায়, “লার্ভা সমূলে নির্মূল করার কথা বলেছি।”
ছবি: সুনীতা সিং।
The post সরকারি দপ্তরই ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর! পুরসভার ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ appeared first on Sangbad Pratidin.
