অমিত সিং দেও, মানবাজার: বিয়ের পর থেকেই লাগাতার অত্যাচার। অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন গৃহবধূ। একমাস পর মনস্থির করে ফের স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন। কিন্তু এ কী! এসে যা দেখলেন, তাতে তো মাথায় প্রায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়। শ্বশুরবাড়িতে ফিরতেই দেখলেন, সতীন (Co-wife) এনেছে স্বামী। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্বামী ও সতীনের হাতে রীতিমত লাঠিপেটা খেতে হল তাঁকে। তারপর উপায় না দেখে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। এই ঘটনায় নির্যাতিতা বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কাশীপুর থানার কুমারডি গ্রামের বাসিন্দা সানুয়ার আনসারির সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুর থানার গুড়কুম গ্রামের বাসিন্দা আরজান বিবির।অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই ওই বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী। দিনদিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি, মাস খানেক আগে ওই বধূ বাপের বাড়িতে চলে যান। আর এই সুযোগে অন্য একটি মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে ‘গুণধর’ স্বামী।
[আরও পড়ুন: একরাতের জন্য শারীরিক সম্পর্ক! মহিলা ব্লগারের চাঞ্চল্যকর দাবি নিয়ে মুখ খুললেন রোনাল্ডো]
পরে এই ঘটনার খবর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কানে যাওয়ায় তিনি শুক্রবার কাশীপুরের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, দুপুর ১২টা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে ঢুকেই দেখেন সতীন নিয়ে এসেছে স্বামী। তিনি প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই অভিযুক্তরা বেদম লাঠিপেটা করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘DA আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই’, সরকারি কর্মীদের আন্দোলন মঞ্চ থেকে হুঙ্কার কৌস্তভের]
প্রহৃত হয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূ কাশীপুর (Kashipur) ব্লকের কল্লোলি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি হন। পরের দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি থানায় যান। স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান কাশীপুর থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।