shono
Advertisement
Digha Jagannath Temple

পাড়ায় বসেই জগন্নাথ দেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী! সব ব্লকেই জায়ান্ট স্ক্রিন, সিদ্ধান্ত মমতার

দারোদ্ঘাটন এবং প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন মন্দির সংলগ্ন এলাকায় চলবে না গাড়ি!
Published By: Paramita PaulPosted: 09:14 PM Mar 12, 2025Updated: 09:58 PM Mar 12, 2025

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অক্ষয় তৃতীয়ায় দারোদ্ঘাটন হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। মহাপ্রভুর প্রাণপ্রতিষ্ঠা তার আগের দিন। জগন্নাথের প্রাণপ্রতিষ্ঠা স্বচক্ষে দেখার জন‌্য দিঘায় ডেরা ফেলতে চাইছেন রাজ‌্য-ভিনরাজ্যের অসংখ‌্য মানুষ। এই আগ্রহ যাতে কারও বিপত্তি ডেকে না আনে তার জন‌্য আগাম সুরক্ষার কথা ভেবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন দিঘায় মন্দির সংলগ্ন এলাকায় টোটো-সহ সমস্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ‌্য প্রশাসন। সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ‌্যজুড়ে সমস্ত ব্লকে বসবে জায়ান্ট স্ক্রিন। সেই স্ক্রিনেই সরাসরি সম্প্রচার হবে মহাপ্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় বুধবার এই তথ‌্য জানিয়ে রাজ‌্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন, “জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে সকলে ধীরে-ধীরে আসুন। আর প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন নজর রাখুন জায়ান্ট স্ক্রিনে। সমস্ত ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে মহাপ্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠা।”

Advertisement

জগন্নাথ দেব-সহ তিনটি পাথরের মূর্তি অনেক আগেই তৈরি হয়ে এসে গিয়েছে। মূল বিগ্রহ কষ্টি পাথরের। বাকি দুজনের শ্বেতপাথরের। সবটাই তৈরি হয়ে এসেছে রাজস্থান থেকে। তবে নিত‌্যপুজোর জন‌্য যে মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা হবে সেটি নিমকাঠের। প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন পুরীর দ্বৈয়িতাপতি। তার পর নিত‌্যপুজোর কাজের দেখভাল করবে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জগন্নাথ ধামের জন‌্য ইতিমধ্যে মুখ‌্যসচিবকে মাথায় রেখে ট্রাস্ট গড়ে দিয়েছেন মুখ‌্যমন্ত্রী। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-ই প্রথম জানিয়েছিল এই মন্দিরে পুরীর রীতি মেনেই পুজো হবে। তার সঙ্গে পুজো-পদ্ধতি, নিত‌্য উপাচার, ধ্বজা বদলের কাজ সবই হবে পুরীর মন্দিরের রীতি মেনেই। ট্রাস্টই সবটা নিয়ন্ত্রণ করবে। ঠিক হয়েছে, মন্দিরের ধ্বজা রোজ বদল হবে পুরীর মন্দিরের ধাঁচেই। তবে সেখানে যেমন পুরীর মন্দিরের গায়ের সূক্ষ্ম খাঁজ ধরে যেভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ওঠানামা করেন, দিঘার মন্দিরের গায়ে ওঠানামার জন‌্যও কিছুটা তেমনই বন্দোবস্ত থাকছে। তার জন‌্য নির্দিষ্ট ব‌্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে পা রেখে মন্দিরের গা বেয়ে ওঠার জায়গাটি হবে আরও প্রশস্ত।

মহাপ্রভুর পুজোর ভোগ মিলবে মন্দিরে বসেই। পুরীর জগন্নাথ দেবের ভোগে অন‌্যতম আকর্ষণ সেখানকার খাজা। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় মিষ্টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে কালীঘাটের মা কালীর মন্দিরের একটি যোগসূত্র থাকছে। সেই অনুযায়ী দিঘার মন্দিরের মূল ভোগে থাকবে পেঁড়া আর ছানার মুড়কি। মূল মন্দিরের কাছেই সমুদ্র সৈকতের উপর যে পুরনো জগন্নাথ মন্দিরটি ছিল সেটিকে জগন্নাথের মাসির বাড়ি হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। সেটিরও সংস্কার চলছে। তিন দেবের তিনটি রথ তৈরি হয়েছে। মন্দিরেই সেগুলি থাকবে। পুরীর তিন রথের যেমন তিনটি ভিন্ন নাম, সেই নামেই পরিচিত হবে দিঘার তিনটি রথও। এই তিন রথের জন‌্য মন্দির লাগোয়া রাস্তা আরও চওড়া হয়েছে। পুরীর স্বর্গদ্বারে যেমন চৈতন‌্যদেবের মূর্তি রয়েছে, সেই ধাঁচে দিঘায় তৈরি হয়েছে চৈতন‌্য ফটক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অক্ষয় তৃতীয়ায় দারোদ্ঘাটন হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের।
  • মহাপ্রভুর প্রাণপ্রতিষ্ঠা তার আগের দিন।
  • জগন্নাথের প্রাণপ্রতিষ্ঠা স্বচক্ষে দেখার জন‌্য দিঘায় ডেরা ফেলতে চাইছেন রাজ‌্য-ভিনরাজ্যের অসংখ‌্য মানুষ।
Advertisement