সুমন করাতি, হুগলি: হাতে টানা রিকশা এখন অস্তিত্ব সংকটে। ব্যস্ততার যুগে আর কলকাতার রাস্তায় তার দেখা মেলে না। স্বাভাবিকভাবেই কমেছে আয়। হতাশায় ৩০ বছরের ‘বন্ধু’কে সঙ্গে নিয়ে বিহারে পাড়ি দিলেন রিকশাচালক রূপ যাদব।
বিহারের পাটনার বাসিন্দা রূপ যাদব। গত ৩০ বছর ধরে কলকাতার রাস্তায় হাতে টানা রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতেন। যত দিন যাচ্ছে, ততই কমছে আয়। এখন প্রায় তলানিতে ঠেকেছে রোজগার। কেউ আর ওঠেনা রিকশায়। একসময়ের এই ঐতিহ্য আজ ইতিহাসের পথে। আয় কমলেও তিন দশকের ‘সাথী’কে ছাড়তে নারাজ রিকশাচালক। তাই কলকাতার ছাড়লেও ‘সঙ্গী’কে এক সেকেন্ডও কাছছাড়া করছেন না রূপ।
ভবানীপুর থেকে পায়ে হেঁটে রূপ পাড়ি দিলেন বিহারের উদ্দেশে। সঙ্গী টানা রিকশা।
[আরও পড়ুন: ‘না নিজেরা করবে, না অন্যদের করতে দেবে’, রেলের অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ মোদির]
রূপ যাদব বলেন, “৩০ বছর ধরে কলকাতার রাস্তায় রিকশা টেনে জীবিকা চালাই। দেড় বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মদন মিত্রের সাহায্যে রিকশা পাই। কিন্তু এখন মানুষ হাতে টানা রিকশায় আর উঠতে চান না। মানুষের কাছে সময়ের খুব অভাব। তাই এখন যা রোজগার হয় সেটা দিয়ে খেয়ে, পরে আর কিছুই থাকে না। তাই বিহার ফিরে যাচ্ছি। সেখানে চাষবাস বা এই রিকশা টেনেই জীবন চালাব। কিন্তু কষ্ট হলেও সঙ্গীকে ছাড়ব না।” কলকাতা ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে রূপ যাদবের। তবে পেটের টান অগ্রাহ্য করা যে কঠিন। তাই নিজের জন্মভূমির পথে রিকশাচালক।
দেখুন ভিডিও:
