নব্যেন্দু হাজরা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল আরপিএফ। ট্রেনের মধ্যেই মিলেছিল একাধিক মুখবন্ধ করা ব্যাগ। সেগুলি খুলতেই চমকে ওঠেন আরপিএফ কর্মীরা। ১০-২০টা নয়, ওই ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৭৯০টি কচ্ছপ। কচ্ছপ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। বন্যপ্রাণ পাচারের বিরুদ্ধে রেলের তরফে দীর্ঘদিন অভিযান চালানো হয়েছে। ওই অভিযানের নাম ‘অপারেশন উইলেপ’। শুক্রবার মালদহ ডিভিশনে দুই ট্রেনে এই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই বিপুল সংখ্যায় কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে।
ফরাক্কা এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনে করে ওই কচ্ছপ পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে আরপিএফের কাছে খবর গিয়েছিল। রেল পুলিশের তরফে শুরু হয় অভিযান। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বারহাওয়া স্টেশনে ফরাক্কা এক্সপ্রেস থামতেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি। একটি কামরায় তিন ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। তাঁদের সঙ্গে একাধিক ব্যাগও ছিল। জেরা করে কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে পড়ে বিপুল সংখ্যায় কচ্ছপ। গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে। মোট ১৮টি ব্যাগ থেকে ৬৬২টি জীবিত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, মালদহ স্টেশনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসেও চলে তল্লাশি অভিযান। সেখানে এক ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয় বাকি কচ্ছপ। তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ সাহিবগঞ্জ এবং মালদহ বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতরা কোথায় ওই কচ্ছপ পাচার করছিলেন? চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত সেসব জানার চেষ্টা করছে রেল পুলিশ। আগামী দিনে এমন অভিযান আরও বাড়বে বলে খবর।
