নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রাতের অন্ধকারে গুলি করে খুন ব্যবসায়ী। বীরভূমের (Birbhum)ময়ূরেশ্বরের সারদা মোড়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। কী কারণে, কারা এমন হত্যাকাণ্ড (Murder) ঘটাল, তদন্তে নেমে তার খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। ব্যবসায়িক শত্রুতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চার-চারটি গুলিতে কার্যত ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল ওই ব্যবসায়ীর শরীর। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা অধরা।
ময়ূরেশ্বরের সারদা মোড়ে পেট্রল পাম্পের মালিক কমলকান্তি দে ওরফে রাজুবাবু। তিনি সাঁইথিয়ার (Saithia)আনচালিয়া ময়দানের বাসিন্দা। প্রতিদিনের মতো সোমবারও রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পেট্রল পাম্প বন্ধ করে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পাম্প থেকে কিছুটা এগোতেই একটি অন্ধকার জায়গায় রাজুবাবুকে ঘিরে ধরে বাইক থামায় জনাকয়েক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তারপরই তাঁকে লক্ষ্য করে চলে এলোপাথাড়ি গুলি (Shootout)। রাতে এত গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রাজুবাবু। তাঁকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, চারটি গুলিতে লেগেছে তাঁর শরীরে – ঘাড়ে, কোমরে, বুকে ও মাথায়।
[আরও পড়ুন: বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ, এবার ৬ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কমলকান্তি ওরফে রাজুবাবু বালিঘাটের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের অনুমান, তাঁকে পরিকল্পনা করেই খুন কর হয়েছে। পাম্পে কোনও সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা ছিল না। বাইরেও অন্ধকার থাকায় সেখানকার ছবিও ধরা পড়েনি কোথাও। তাই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রাজুবাবুকে লুটের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়নি। তাঁকে এভাবে হত্যার পিছনে ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। আরও একটি বিষয় সম্পর্কেও খোঁজখবর করছে পুলিশ। বালিঘাট নিয়ে কোনও অবৈধ কারবারে তিনি যুক্ত কি না, তাও দেখা হচ্ছে।