সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। অভিযোগ করলেন মঙ্গলকোটে তাঁকে সভা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন লড়াই করতে তিনি ভয় পান না।
শুক্রবার একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে বর্ধমানে গিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেখান থেকেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নিশানা করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, মঙ্গলকোটে তাঁকে সভা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সভা করলে তাঁর অনুগামীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেটা অনুব্রত মণ্ডল করাচ্ছেন বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়ক। বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঠিক আছে। কিন্তু বীরভূমের গরম হাওয়া এনে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটকে গরম করবেন, তা চলবে না। উনি বীরভূম জেলাতে নেতৃত্ব দিন। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা, আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট তাঁর হাত থেকে নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”
[আরও পড়ুন: দলবদলের জের? শিল্প মেলার আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই মিহির গোস্বামী, ডাক পেলেন না নিশীথও!]
এদিন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কথায়, দলেরই একাংশের বাধায় গত সাড়ে চার বছর তিনি মঙ্গলকোটে যাননি। সম্প্রতি দলের নির্দেশে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন মঙ্গলকোটে। কিন্তু তিনি সভা করে আসার পরই তাঁর অনুগামীদের, দলীয় কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ নিজেকে দলের ঊর্ধ্বে ভাবছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এর থেকেও কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনীতি করেছি। আমি তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক। সিপিএমের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করেছি। এখনকার এই লড়াই করতে আমি ভয় পাই না।” এ বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।