সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: করোনাতঙ্ক কাটিয়ে দু’বছর পর অফলাইনে হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam)। স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়াদের মধ্যে কাজ করছিল ভয়। সেই ভয় কাটিয়ে নির্বিঘ্নে কার্যত উৎসবে মিটল প্রথম পরীক্ষা। রাজ্যের কোনও প্রান্ত থেকেই অপ্রীতিকর কোনও ঘটনার খবর মেলেনি। প্রশাসনিক প্রহরায় পরীক্ষা দিল বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুইয়ের (Bagtui Village) পরীক্ষার্থীরাও।
এবার রীতি ভেঙে নিজেদের স্কুলেই পরীক্ষা দিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। তাদের জন্য বিশেষ বাসও চালিয়েছিল রাজ্য সরকার। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষার শুভেচ্ছা জানিয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখেন, “২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা। লক্ষ্যে স্থির থাক। শান্ত থাক। লক্ষ্য।পূরণ হবেই। সুষ্ঠভাবে গোটা পরীক্ষা প্রক্রিয়া মেটানোর জন্য সকলের সহায়তা কাম্য।”
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীকে দিতে হবে খোরপোশ, মহিলাকে নজিরবিহীন নির্দেশ বম্বে হাই কোর্টের]
জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা। তার উপর দু’বছর ঘরবন্দি দশা। স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলের সামনে ছিল পড়ুয়াদের লম্বা লাইন। সঙ্গী ছিলেন অভিভাবকরা। পরীক্ষার্থীদের মনে সাহস জোগাতে স্কুলে স্কুলে হাজির হয়েছিল স্থানীয় কাউন্সিলর, বিধায়করা। যেমন যোধপুর বয়েজ স্কুলে পরীক্ষার্থীদের দইয়ের ফোটা দিয়ে গোলাপ ও জল তুলে দেন বিধায়ক দেবাশিস কুমার , পুরমাতা মৌসুমী দাস ও ব্লক সভাপতি রতন দে। কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য স্কুলেও ছিল একই ছবি।
এদিন পরীক্ষা দিলেন বগটুইয়ের ১২ পরীক্ষার্থী। তাঁদের সুবিধার্থে দু’দিন আগেই রামপুরহাটের এক বেসরকারি স্কুলে আনা হয়েছিল। সেখান থেকেই পরীক্ষা দিতে গেলে তারা। পড়ুয়ারা বলছে, গ্রামের একটা আতঙ্কের আবহ রয়েছে। তাছাড়া বহু মানুষ আসা-যাওয়া করছে। ওখানে থাকলে মনোযোগ নষ্ট হত। তাই প্রশাসন থেকে এখানে এনে রাখা হয়েছে আমাদের। স্কুলের তরফেই তাদের বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফুল, পেন তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। সবমিলিয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজে শেষ হল উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা।