সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিকেল থেকে ঘেরাও থাকার পর অবশেষে বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মুক্ত হলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। বুধবার বিকেলে পূর্ব নির্ধারিত একটি সেমিনারে যোগ দিতে বিশ্বভারতী গেলে তাঁকে ঘেরাও করে পড়ুয়ারা। সেখান থেকে টুইট করে ঘটনার কথা জানান স্বপন দাশগুপ্ত। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। টুইট করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী। রাতেই টুইটে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কুমারকে ফোনও করেন রাজ্যপাল।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বুধবার বিশ্বভারতীর একটি সেমিনারে যোগ দেবেন। সেখানে ‘The CAA-2019: Understanding and Interpretation’ এই বিষয়ের উপর বক্তৃতা দেবেন তিনি। জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে সেই বক্তৃতার আয়োজন করা হবে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সেমিনার বয়কটের ডাক দেন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁদের পাশে দাঁড়ান ছাত্র-অধ্যাপকদের একাধিক সংগঠন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন বিশ্বভারতীতে এহেন বক্তৃতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও।
পড়ুয়াদের বক্তব্যের গুরুত্ব না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু বিশ্বভারতীতে পৌঁছেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপি সাংসদকে কালো পতাকা দেখায় পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহের বদলে অন্য একটি কক্ষে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে বক্তৃতাও রাখেন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু তিনি ওই কক্ষে ঢুকতেই দু’দিন থেকে ঘরটি বন্ধ করে দেয় পড়ুয়ারা। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। দীর্ঘক্ষণ পর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সরে যায় বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। এরপর মুক্ত হন বিজেপি সাংসদ, উপাচার্য। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক করবে বামপন্থী পড়ুয়ারা। বিকেলে মিছিলে পা মেলাবেন তাঁরা।
The post বিশ্বভারতী কাণ্ডে সরব রাজ্যপাল, দীর্ঘক্ষণ পর ঘেরাও মুক্ত বিজেপি সাংসদ appeared first on Sangbad Pratidin.
