সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আগামী সোমবার রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে স্নান করাতে বিভিন্ন নদী, সাগর, হ্রদের জলের সঙ্গে লাগবে ঘি, মধু ও ডাবের জল। সুন্দরবনের মধু পৌঁছল অযোধ্যায়। পাথরপ্রতিমার এক রামভক্ত পাঠালেন ১০১ কেজি মধু।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কে প্লটের বাসিন্দা হরিপদ মণ্ডল এবং তাঁর ছেলে গোকুলও রামভক্ত। অযোধ্যার রামমন্দির প্রতিষ্ঠার খবরে আনন্দিত গোটা মণ্ডল পরিবার। হরিপদবাবু আগেই ঠিক করেছিলেন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় অযোধ্যায় পাঠাবেন সুন্দরবনের খাঁটি মধু। বাবার পরিকল্পনায় সম্পূর্ণ সায় ছিল ছেলেরও। মধু সংগ্রহে সুন্দরবনের জঙ্গলের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত নিজেই ঘুরে বেরিয়েছেন। কিছুটা নিজে সংগ্রহ করেন এবং বাকি মধু মউলিদের কাছ থেকে নেওয়া। সবমিলিয়ে একটু একটু করে তিনি প্রায় ১০১ কেজি মধু সঞ্চয় করেন।
[আরও পড়ুন: ‘কথা দিয়ে কথা রাখার নাম তৃণমূল’, ধূপগুড়ি মহকুমা হওয়ায় উচ্ছ্বসিত অভিষেক]
ছেলে গোকুলকে দিয়ে সেই মধুই অযোধ্যায় পাঠিয়েছেন হরিপদ। উদ্দেশ্য রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় তাঁর পাঠানো মধু যাতে কাজে লাগানো হয়। গাড়িতে সেই মধু চাপিয়ে গোকুলবাবু পাড়ি দিয়েছিলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। শুক্রবার সেই মধু নিয়ে হরিপদবাবুর ছেলে পৌঁছেছেন অযোধ্যায়। এদিন মধু নিয়ে ছেলে অযোধ্যায় পৌঁছনোর কথা শুনেই আনন্দে আত্মহারা হরিপদবাবু। তিনি জানান, রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় তাঁর পাঠানো মধু কাজে লাগলে ধন্য হবেন। শুধু সুন্দরবনের মধুই নয়। ইতিমধ্যেই বিহারের ঘি, কর্নাটকের চন্দন এবং কেরলের ডাবও পৌঁছে গিয়েছে অযোধ্যায়।