সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করা হয়েছিল। অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল ৩০ হাজার টাকা। টিটাগড়ে তৃণমূল নেতা খুনে ধৃতদের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন খুব কাছ থেকে শাসকদলের ওয়ার্ড সভাপতি সতীশ মিশ্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি চলে নাইন এমএম পিস্তল থেকে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভোলা প্রসাদ-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[ সার্ভিস সেন্টারের আড়ালে রান্নার গ্যাসের অবৈধ কারবারের পর্দাফাঁস]
সোমবার ভরদুপুরে টিটাগড়ে তৃণমূল নেতা সতীশ মিশ্রকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। টিটাগড় পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের সভাপতি ছিলেন তিনি। চাকরি করতেন টিটাগড় ওয়াগন কোম্পানিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিনে দুপুরে মুচিপাড়ায় একটি কালীপুজোর মণ্ডপের সামনে কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা-সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন সতীশ। বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শাসকদলের নেতা সতীশ মিশ্রের বুকে লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুরের বি এন বসু হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার গভীর রাতে মারা যান তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড সভাপতি সতীশ মিশ্র।
ঘটনার দিনই মূল অভিযুক্ত ভোলা প্রসাদ ও তার সঙ্গী অমরনাথ প্রসাদ ওরফে কালা মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে টিটাগড় থানার পুলিশ। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোরে খড়দহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয় দাস ও শেখ সমীর নামে আরও দু’জনকে। তদন্তকারীদের দাবি, সঞ্জয় ও সমীর দু’জনেই ভাড়াটে খুনি বা সুপারি কিলার। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা সতীশ মিশ্রকে খুনের করার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল আড়াই হাজার টাকা। এদিকে গ্রেপ্তারি পর অসুস্থ হয়ে পড়ে মূল অভিযুক্ত ভোলা প্রসাদ। কলকাতার একটি হাসপাতালে ভরতি সে। বাকি তিনজনকেই মঙ্গলবার তোলা হয়েছিল বারাকপুর আদালতে। অমরনাথ প্রসাদকে সাতদিন পুলিশি হেফাজত এবং বাকি দু’জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[ উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ, বন্ধ হয়ে গেল বাঁকুড়ার চণ্ডীদাস চিত্রমন্দির
The post টিটাগড়ে তৃণমূল নেতা খুনে আড়াই লক্ষ টাকা সুপারি! appeared first on Sangbad Pratidin.
