নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে লং মার্চে হাঁটার সময়ে মেজাজ হারালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর রোষের মুখে পড়লেন সাংবাদিকরা! খবর করতে গিয়ে রীতিমতো হেনস্তা হতে হল তাঁদের। শাসকদলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ, ‘‘আসলে নানা কায়দা করেও লোক জোগাড় করতে না পেরে পাগল হয়ে গিয়েছেন সূর্যকান্ত।’’
[মুদির দোকানের আড়ালে জাল শংসাপত্রের কারবার, গ্রেপ্তার ১]
দু’দিন আগেই জেলার চার প্রান্ত থেকে চারটি পদযাত্রা বের করে বামফ্রন্টের ছ’টি সংগঠন। মঙ্গলবার ছিল তার শেষ দিন৷ এদিন সিউড়ি জেলা স্কুল মাঠে কেন্দ্রীয় সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল৷ বেলা দুটোর সমাবেশ বেলা চারটেতেও শুরু করা যায়নি৷ একসময়ে সিপিএম নেতারাই বারবার লোকজনকে মঞ্চের সামনে আসতে অনুরোধ করতে থাকেন৷ কিন্তু, তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি৷ উলটে মেজাজ হারালেন খোদ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রই৷
[দুঃস্থ পড়ুয়াদের মুখে হাসি ফোটাতে পুজোয় জামা উপহার শিক্ষকদের]
মঙ্গলবার সিপিএমের লং মার্চে হাঁটার জন্য সিউড়ির তিলপাড়া এলাকায় হাজির হন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র৷ পদযাত্রার আগে জেলা স্কুলের মাঠে ভাষণ দিতে বিজেপি ও তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি৷ সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, বীরভূমে বালি-কয়লা সব কিছুর জন্যই ‘কেষ্টা বেটা চোর’৷ এরপরই হঠাৎ করে মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করে বসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ বলেন, ‘কেন আপনারা আমার ছবি তুলছেন। আপনাদের হাউস তো আমাদের ছবি ছাপবে না৷ তার থেকে বরং মুখ্যমন্ত্রী ছবি তুলন৷’’ সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের উপর রীতিমতো লাঠি ও ঝাণ্ডা নিয়ে চড়াও হন বাম কর্মী-সমর্থকরা৷
এই ঘটনায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন শাসকদলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল. তিনি বলেন, ‘‘জেলা স্কুল মাঠ ভরতে দশ থেকে পনেরো হাজার লোকের দরকার। প্রথমে লোক এসেছিল পাঁচশো। সূর্যকান্ত মঞ্চে উঠতেই একশ সমর্থক দাঁড়ায়। তাতেই মাথা পাগল হয়ে যায়। উল্টোপাল্টা বকতে শুরু করেন। সাংবাদিকদের হেনস্থা করে।’’
ছবি: বাসুদেব ঘোষ৷
The post ‘আমার ছবি না তুলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তুলুন’, লং মার্চে মেজাজ হারালেন সূর্যকান্ত appeared first on Sangbad Pratidin.
