সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: “এবার লড়াই সাম্প্রদায়িক মোদি আর বাংলার দিদির। আপনারা তৈরি হোন। বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ চাই। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করুন। ওরকম চৌকিদারকে আমাদের দরকার নেই। যে চৌকিদার দেশ ছেড়ে অপরাধীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল।” শনিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের সরিষায় হাইস্কুল মাঠে ফলতা ও ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার বুথভিত্তিক এক বর্ধিত কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ আরও পড়ুন: দলের ভরসা হারাচ্ছেন সব্যসাচী, সরলেন বিধাননগরে প্রচারের দায়িত্ব থেকেও]
ডায়মন্ডহারবারের সরিষায় কর্মিসভা করেন বিদায়ী সাংসদ ও তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মিসভাই জনসভার চেহারা নেয়। ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের সরিষায় তিনি বিরোধী বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন। তিনি বিরোধী তিন দলকেই কালীপুজোর সময় আসা শ্যামাপোকা ও বিষধর কালসাপের সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আশি বছর আগের বাঙালি যেমন ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি, আশি বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তেমন বিজেপি ও সিপিএমের কাছে আত্মসম্মান বিসর্জন দেননি। নরেন্দ্র মোদিকে কেউ চায়ের কেটলি হাতে ঘুরতে দেখেননি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আজও টালির চালের বাড়িতে থাকেন। সেখানে বাস করেই তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন। তাঁদের আরও কী করে আর্থিক উন্নতি করা যায় সেকথা ভাবেন। তাই এবার বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ চাই।’’
[ আরও পড়ুন: ‘ইতিহাস যা হয়েছে ভুলে যান’, আসানসোলে বদলের ডাক মুনমুনের]
বিরোধীদের এদিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেস হল শ্যামাপোকার দল। শ্যামাপোকা যেমন কালীপুজোর সময় আসে আবার পুজো শেষ হলেই মিলিয়ে যায়, তেমনই ওদেরও ভোট এলে দেখা যায়, আবার ভোট শেষ হয়ে গেলে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের সঙ্গে আগেও যেমন ছিল, এখনও সবসময় আপদে-বিপদে আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আসলে এরা হল বিষধর কালসাপের মতো। দুধ-কলা খাওয়াবেন, ওরা কিন্তু আপনাদের ছোবল মারবেই। তাই আগামী ১৯ মে গণতান্ত্রিকভাবে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।”
The post ‘দেশে এমন চৌকিদারের দরকার নেই’, সরাসরি মোদিকে আক্রমণ অভিষেকের appeared first on Sangbad Pratidin.
