সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আনা অর্থপাচারের যুক্তি শুনল না দিল্লির একটি আদালত। তবে কোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল-সোনিয়ার বিরুদ্ধে আনা অর্থপাচারের মামলা উঠেছিল রাজধানীর রাউস এভিনিউ কোর্টে। বিচারক বিশাল গোগনি ইডির যুক্তি উড়িয়ে জানান, ব্যক্তিগত স্তরে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এমনকী কোনও এফআইআর নেই। ফলে এই মামলা ধোপে টেকে না। রাহুল-সোনিয়া ছাড়াও সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদা, সুনীল ভাণ্ডারী এবং ইয়ং ইন্ডিয়ান ও ডোটেক্স মার্চেনডাইসেক অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত করেছিল ইডি। স্বভাবতই আদালতের এই মন্তব্য রাহুল-সোনিয়ার জন্য সাময়িক স্বস্তির।
২০২১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডি। বিজেপি নেতা সুব্র্যহ্মণম স্বামীর দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। স্বামীর অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেডের ২০০০ কোটির সম্পত্তি দখল করেছে ইয়ং ইন্ডিয়া, যার শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সোনিয়া এবং রাহুল-সহ আরও অনেকে। অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেড থেকেই প্রকাশিত হত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি। তাই এই মামলার প্রথম থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বের নাম জড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া, রাহুলদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ডের দপ্তরেও তল্লাশি চালিয়েছে। এই মামলায় অবশ্য কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের কোনও নেতা এখনও গ্রেপ্তার হননি। কংগ্রেস অবশ্য বরাবরই ন্যাশনাল হেরাল্ডের সবরকম তদন্তপ্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করে।
