অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: দুর্ঘটনায় জখম অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যুবক। কেউ তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি। তবে সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। রাস্তায় মুমুর্ষু যুবককে দেখেন নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করেন বিধায়ক। প্রকৃত অর্থে জনপ্রতিনিধির কাজ করে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন বিক্রমচন্দ্র প্রধান (TMC MLA Bikram Chandra Pradhan)। তবে মহান এই উদ্যোগকে নিছক কর্তব্যপালন বলেই দাবি বিধায়কের।
সোমবার বেলদাতে রেলের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। বিক্ষোভ কর্মসূচি সেরে দাঁতনে বাড়ি ফিরছিলেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফিরছিলেন। কেশিয়াড়ি থানার কলাবনীতে তিনি দেখেন রাস্তার উপর দুর্ঘটনায় জখম অবস্থায় এক যুবক পড়ে রয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক। বাইক আরোহী যুবকের ওই অবস্থা দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি বিধায়ক। তড়িঘড়ি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ওই যুবককে উদ্ধার করেন। নিজের গাড়িতে চাপিয়ে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করেন। তবে জখম ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গ সফরে এসে চৈতন্যদেবকে নিয়ে ভুল মন্তব্য, জে পি নাড্ডার বিরুদ্ধে ব্যানারে ছয়লাপ কাটোয়া]
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বছর তেত্রিশের জখম ওই যুবক বেলদা থানার রানিসরাইয়ের বাসিন্দা। বিধায়কের মানবিক কাজ মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। জনপ্রতিনিধি এহেন কাজে মুগ্ধ প্রায় সকলেই। বিধায়কের জন্য যুবকের পুনর্জন্ম হল বলেই দাবি পরিজনদের। বিধায়কের প্রশংসায় মুখর সকলেই। যদিও বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান প্রশংসর ভাগীদার হতে চান না। তাঁর দাবি, এটা কোনও কৃতিত্বের কাজ নয়। এটা কর্তব্য। যুবকটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সেটাই চাই।