shono
Advertisement

WB Civic Polls: শিলিগুড়ির পুরভোটে তৃণমূলকেই সমর্থন, অবস্থান স্পষ্ট করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা

'প্রচারের জন্য তৈরি, ডাকলেই বেরব', জানালেন রোশন গিরি।
Posted: 05:51 PM Jan 12, 2022Updated: 06:39 PM Jan 12, 2022

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পুরভোটের আগে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানালেন, শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনে তারা তৃণমূলকেই (TMC)সমর্থন করছে। তাঁর কথায়, ”আমরা শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন করছি। যদি আমাদের ডাকা হয়, তাহলে প্রচার করতে প্রস্তুত।” পাশাপাশি, তাঁর দাবি, পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধানের পর জিটিএ (GTA) নির্বাচন হোক। তার আগে অবশ্যই পুরসভাগুলির নির্বাচন হোক।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠকে মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।

শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনে (Siliguri Municipal Election) নেপালি ভোটাদের একটা বড় প্রভাব রয়েছে। সব দলই এই ভোট পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায়। কিন্তু প্রথমে বিনয় তামাংকে দলে নিয়ে এখন আবার মোর্চার সমর্থন পেয়ে কিছুটা হলেও এ বিষয়ে শাসকদল তৃণমূলই যে এগিয়ে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করতে এ বছর আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে তৃণমূল। আর তাই মোর্চার সমর্থন প্রাপ্তির বার্তায় আরও চাঙ্গা হল ঘাসফুল শিবির।

[আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই বাজারে আসছে LIC’র শেয়ার! দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই]

বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির দাগাপুরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করার ঘোষণা করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। এদিন তিনি বলেন, ”পুরনিগমের ৪৭টি আসনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে। আমাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের যোগাযোগও রয়েছে। তাই যদি তৃণমূল নেতৃত্ব চায়, মোর্চা নেতারা প্রার্থীদের হয়ে প্রচারও করবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি প্রচার করার জন্য। এছাড়া আমরা সকলকে বলে দিয়েছি, তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার কথা।”

[আরও পড়ুন: WB Civic Polls: শিলিগুড়ি পুরভোটের আগে আইনি বিপাক, নাম জড়াল তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নির্দল প্রার্থীর]

একইসঙ্গে রোশন গিরি (Roshan Giri) এদিন আরও বলেন, ”আমরা এই মুহূর্তে জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নই। আমরা চাই, পাহাড়ে চারটি পুরসভার নির্বাচন আগে হোক। পুরসভার নির্বাচন না হলে মানুষ রোজকার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। আর জিটিএ নির্বাচন হওয়ার আগে পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করা হোক। তারপর জিটিএ নির্বাচন করা হোক।” শুধু তাই নয়, পাহাড়ের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনও দ্রুত করানোর পক্ষপাতী মোর্চা নেতৃত্ব। তাহলে সামগ্রিকভাবে পাহাড়ের মানুষ উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, পাহাড়ের চার পুরসভার মধ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি ছাড়া বাকি তিন পুরসভা – কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিকে লড়াই করে মোর্চা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার