সম্যক খান, মেদিনীপুর: বাংলায় ভোটযুদ্ধ (West Bengal Assembly Elections) শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯টি আসনে নির্বাচন। তার আগে পুলিশের নাম করে ভুয়ো পোস্টারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নারায়ণগড়, দাসপুর, কেশপুর-সহ মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাত ও বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim medinipur) বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু পোস্টার দেখা যায়। পুলিশের নাম করে দেওয়া সেই পোস্টারে লেখা ছিল, কোন আসনে কতটা ভোটে এগিয়ে রয়েছে কোন দল, পিছিয়ে কারা। শেষে লেখা কোন শিবিরের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কোনও পোস্টারে লেখা নারায়ণগড়ে তৃণমূলই সম্ভাব্য জয়ী। এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই পোস্টারের সঙ্গে কোনওভাবেই পুলিশি যোগ নেই। কেউ বা কারা পরিকল্পনামাফিক এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে পুলিশের নামে এই পোস্টার ছড়িয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মমতার ছবিতে কাদা! তৃণমূলের পতাকা, হোর্ডিং ছেঁড়ার অভিযোগ, উত্তপ্ত কামারহাটি]
বিধানসভা নির্বাচনের ফল কী হবে? রাজ্যবাসী কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই তুলে দেবে বাংলার দায়িত্ব? নাকি এবার মসনদে বসবে বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও পথ নেই। তবে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী দুই শিবিরই। তৃণমূল নিশ্চিত তারাই জয়ী হবে। একইভাবে বিজেপিও জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের নামে ছড়ানো ভোটের সম্ভাব্য ফল পশ্চিম মেদিনীপুরে অশান্তি তৈরি করেছে বলেই খবর। জানা গিয়েছে, শুধু পুলিশ নয় আরএসএসের নামেও একটি পোস্টার মিলেছে ওই এলাকায়। সেখানেও ভোটের সম্ভাব্য ফল বলা হয়েছে।