তরুণকান্তি দাস: ভোটের ভাগ্য ঝুলে আদালতে। কিন্তু পায়ের তলায় সরষে রাখা বাঙালিকে আটকায় কে? ভোটপর্ব শেষ হলেই স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি পড়বে। তার আগে আবার দুয়ারে কড়া নাড়ছে টানা চারদিনের ছুটি। আলস্য ঝেড়ে ফেলেছে বাঙালি। কিন্তু, তা বলে আর ছুটিতে বাড়িতে বসে থাকা যায় না! গন্তব্য পুরী, দার্জিলিং, নিদেনপক্ষে দিঘা। হোটেল খালি নেই। ট্রেনেও রিজার্ভেশন মিলছে না। পরিস্থিতি এমনই, যে বাসে পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং সেরে রেখেছেন অনেকেই। কিন্তু, রাজনীতিবিদ বা ভোটকর্মীরা বিপদে পড়েছেন। তাঁদেরও ছুটি আছে ঠিকই। তবে পঞ্চায়েত ভোটে নয়া নির্ঘন্ট ঘোষণা হলে যে ছুটি বাতিল হয়ে যাবে! তবে ছুটি বাতিল হওয়া নিয়ে অবশ্য বিশেষ মাথাব্যথা নেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের। বরং তাঁরা বলছেন, পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই বাঁচা যায়। লাগাতার টালবাহানার চাপ আর নেওয়া যাচ্ছে না।
[সিউড়িতে শেখ দিলদার খুনে গ্রেপ্তার ৪ বিজেপি কর্মী]
কিন্তু, ছুটিটা ঠিক কতদিনের? টানা চারদিন না পাঁচদিন? তা নিয়েও আবার বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগের নির্ঘণ্টে ১ মে ছিল প্রথমদফার ভোটগ্রহণ। তাই মে দিবসে ছুটি বাতিল করে পরের অর্থাৎ ২ মে কর্মীদের ছুটি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, পুরনো নির্ঘন্ট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তাই ১ মে আর ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, ২ মে ছুটিও বাতিল হয়নি। ফলে বিভ্রান্তি চরমে। পাহাড়ে শান্তি ফেরার পর পুজোর সময় পর্যটকের ঢল নেমেছিল। তবে বাংলা নববর্ষে তেমন ভিড় দেখেনি দার্জিলিং। গরমের ছুটির আগে চারদিন ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পাহাড়।
[বামনগোলায় একই আসনে লড়াই দুই বামনেত্রীর, লাভের গুড় খাচ্ছে তৃণমূল]
দার্জিলিং হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা হিমাদ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সব হোটেল হয়তো ভরবে না। তবে ৬০ শতাংশ ঘর ভাড়া হয়ে যাবে। আসলে টানা ছুটি এবং গরম একটা ফ্যাক্টর।‘ পর্যটকদের আশায় দিন গুনছেন দিঘা-শংকরপুর-মন্দারমণির হোটেল মালিকরাও। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা জানান, এই চারদিনের ছুটিতে রেকর্ড ভিড় হবে। তবে ভোট ঘোষণা মানেই তো সব ছুটি বাতিল। তখন ভিড়ও একটু কমবে। তাহলেও হোটেলগুলোতে সহজে জায়গা মিলবে বলে মনে হয় না।‘
[বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সংঘর্ষের ছবি, বিতর্ক তুঙ্গে]
The post ছুটি আছে তবু শঙ্কা, নির্বাচনের জটে নাজেহাল বাঙালি appeared first on Sangbad Pratidin.
