সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুর সীমান্তে তীব্র চাপানউতোর। তারই মাঝে হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তাঁর সফর বলে নিজে মুখে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে যাওয়ার কথা। ওই জেলার আরও কয়েকটি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি।
সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, "অনেক মানুষ সীমান্তে রয়েছেন বলেই শোনা গিয়েছে। নানা ধারণা, নানা ব্যাখ্যা তৈরি হতে পারে। রিয়ালিটি চেক করতে নিজেই যাচ্ছি।" জানা গিয়েছে, হাকিমপুরের সীমান্ত চৌকি, বিএসএফ ক্যাম্প, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল বোস। শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। অনুপ্রবেশ থেকে চোরাচালান, নিরাপত্তা - সব কিছু নিয়েই কথাবার্তা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর। এনুমারেশন ফর্ম বিলি, ডিজিটাইজেশনের কাজে ব্যস্ত বিএলও-রা। রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি শিরোনামে চলে আসে হাকিমপুর সীমান্তের কথা। অনেকের দাবি, প্রায় দু'শো মানুষ ব্যাগ নিয়ে সীমান্তের এই প্রান্তে বসে রয়েছেন। তাঁরা আসলে বাংলায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকার স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, গুজব রটানো হচ্ছে। তার প্রতিবাদে ওই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভও দেখান। ভুয়ো খবর রটানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের হাকিমপুর সীমান্ত সরেজমিনে পরিদর্শনে যাওয়া যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বলে রাখা ভালো, উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ খানিকটা সময় ধরে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতানৈক্য তৈরি হয়েছে একাধিক ইস্যুতে। কখনও বিলে সময়মতো সই না করা, কখনও আবার রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তির দায় শাসকদলের উপর চাপিয়ে দেওয়া – নানা বিষয়ে রাজ্যপালের ‘অতিসক্রিয়তা’, ‘বিতর্কিত’ পদক্ষেপ বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই মাঝে রাজ্যপালের এহেন পদক্ষেপ নিয়ে ফের তৈরি হবে সংঘাত, সে প্রশ্নে উত্তর দেবে সময়।
