স্টাফ রিপোর্টার: দেশজুড়ে করোনার দাপট অব্যাহত। এরই মধ্যে আবার নয়া ত্রাস হিসাবে উঠে এসেছে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)। বুধবারই দিল্লিতে চতুর্থ মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। গোটা দেশে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৯। ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। এরাজ্যে এখনও নয়া এই রোগে কেউ আক্রান্ত না হলেও আগেভাগে সতর্ক রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ রুখতে আগেভাগে জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে।
সূত্রের খবর, মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID) হাসপাতালকে তৈরি রাখা হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আলাদা শয্যার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও রাখা হয়েছে আলাদা আইসোলেশন বেড। তবে শুধু কলকাতা নয়, জেলা প্রশাসনগুলিকেও অন্তত একটি করে হাসপাতাল মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিকে আগাম প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর ভাই, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে সুদীপের দ্বারস্থ প্রহ্লাদ মোদি]
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ রয়েছে এমন কারও হদিস পাওয়া গেলে দ্রুত তাঁর নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। সেই সঙ্গে সন্দেহভাজন রোগীদের বিস্তারিত কেস রেকর্ড রাখতে হবে হাসপাতালগুলিকে। ওই রোগী কবে বিদেশ গিয়েছিলেন, কবে ফিরেছেন, কোন বিমানবন্দরে নেমেছেন, কোনও উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, ওই রোগীর শরীরে কী কী উপসর্গ দেখা গিয়েছে, সবকিছু ছবি-সহ কেস রেকর্ডে রাখতে হবে। হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন কোনও রোগীর সন্ধান পেলেই দ্রুত জেলা প্রশাসন, বা পুরসভাকে জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: দেশের করোনা পরিসংখ্যানে ফের উদ্বেগ, নতুন করে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ২০ হাজার]
রাজ্য সরকারের দেওয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি গত ২১ দিনের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ রয়েছে এমন কোনও দেশে গিয়ে থাকলে এবং তাঁদের শরীরে প্রচুর র্যাশের মতো উপসর্গ দেখা গেলে তাঁকে সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স রোগী হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়াও মাঙ্কিপক্সের অন্যান্য উপসর্গ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ধুমজ্বর, মাথা ব্যাথা, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, চুলকানি, জ্বালা প্রভৃতি। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এই ধরনের রোগীর হদিশ পেলেই দ্রুত তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে হাসপাতালগুলিকে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।