ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আয়োজনে কোনও খামতি ছিল না। কিন্তু, ভোটগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতার আর দরকার পড়েনি। বীরভূমে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ফিরেছে শাসকদল। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তো বটেই, জেলা পরিষদেও সিংহভাগ আসনে মনোনয়নই জমা দিতে পারেনি বিরোধীরা। নিয়মরক্ষার মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে আবার বোলপুরে এসডিও অফিসের সামনে অস্ত্র মিছিল করলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। দেখা মিলল না পুলিশের।
[ভোট হিংসার নয়া নজির, একে অপরের দিকে অ্যাসিড ছুড়ল তৃণমূল-বিজেপি]
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য। শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি আদালত। বরং, এই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ কমিশনকে জানানোরই নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার সকালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আসার পরই কলকাতায় কমিশনের দপ্তরে কার্যত হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। কমিশনের দপ্তরেই মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চায়েত ভোটে রিটার্নিং অফিসারের সামনেই মনোনয়ন জমা দিতে হয়। কমিশনের দপ্তরে মনোনয়ন জমা নেওয়া যায় না।
[অনুব্রতর পথেই কার্যসিদ্ধি, আসানসোলে বিরোধীদের ‘লস্যি-সরবতে’র দাওয়াই তৃণমূলের]
সোমবার ছিল মনোনয়ন পেশের শেষদিন। বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতেই প্রার্থী দিতে পেরেছে বিরোধীরা। অন্যদিকে, ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিরোধীরা প্রার্থী দিয়েছে হাতে গোটা কয়েকটিতেই। ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মোটে ৫টিতে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা পড়েছে। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে শাসকদলের জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অবশ্য মঙ্গলবারও মনোনয়ন পেশ করার সুযোগ পেয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু, মনোনয়ন পেশের শেষদিনে বীরভূমে অস্ত্রের আস্ফালন। সৌজন্যে শাসকদল। এদিন সকালে বোলপুরে এসডিও সামনে অস্ত্র হাতে বাইক মিছিল করলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে জয়ের আনন্দে মাতলেন তাঁরা। শাসদলের অস্ত্রমিছিল যখন চলছে, এসডিও অফিসের সামনে দেখা যাওয়া যায়নি পুলিশকর্মীদের।
দেখুন ভিডিও:
[এককাট্টা একান্নবর্তী পরিবারের ভাঙন ডাকল পঞ্চায়েত ভোট! ব্যাপারটা কী?]
The post মনোনয়ন পেশের শেষদিনে বোলপুরে তৃণমূলের অস্ত্র মিছিল, দেখুন ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.
