সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রেমের টানে সংসার ছেড়েছিলেন। কিন্তু প্রেমিকার হাতেই খুন হতে হল গৃহবধূকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। ঘটনা চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় যখন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় শ্মশানে নিয়ে গিয়ে মরদেহ পোড়ানোর চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মৌসুমী সর্দার। বেশ কিছু বছর আগে তাঁর জয়ন্ত সাহা নামের ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জয়ন্তও বিবাহিত। বছর তিনেক আগে দু’জনেই সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তারপর বিষ্ণুপুর থানা এলাকার খড়িবেড়িয়ায় ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: কোন ক্ষমতায় CBI আদালতের গরু পাচার মামলা স্থানান্তর দিল্লিতে? বিচারকের প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে ED]
আমতলার চৌরাস্তায় জয়ন্তর ওষুধের দোকান ছিল। সেই রোজগারেই সংসার চলছিল। আচমকা মৌসুমীর মৃত্যুর খবর জানা যায়। তারপরই শোনা যায় মরদেহের সৎকার করতে দক্ষিণ বারাসাতের একটি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৌসুমীর বোন জানতে পেরেই শ্মশানে গিয়ে উপস্থিত হন। তার আগেই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে গিয়েছিল। পুলিশও শ্মশানে গিয়ে পৌঁছায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে মৌসুমীর মৃত্যুর খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জয়ন্তর আমতলার দোকানে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।
মৌসুমীর পরিবারের অভিযোগ, জয়ন্ত মৌসুমীকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল। বিষ্ণুপুর থানায় জয়ন্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৌসুমীর স্বামী ও মেয়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৌসুমীর দেহ মমিনপুর মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে।
