গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সাতসকালে কাঁকরোল খেত থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) গুনরাজপুর গ্রামে। মৃতের মুখ দগ্ধ, গলার নলি কাটা। মৃতদেহের পাশ থেকে মোবাইল ফোন এবং চশমা উদ্ধার হয়েছে। বসিরহাটের (Basirhat) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রামে এই ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। তবে মৃত যুবতীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে কি যৌন নির্যাতনের পর এভাবে খুন করা হয়েছে? উঠছে সেই প্রশ্নও।
ঘটনাস্থল বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে চাষের কাজে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, একটি কাকরোল খেতের (Field) পাশে বছর উনিশের এক যুবতীর রক্তাক্ত মৃতদেহ (deadbody)। দেখা যায়, তাঁর গলার নলিটি কাটা। পাশাপাশি তাঁর মুখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে চশমা, মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া চশমাটি বাংলাদেশি (Bangladeshi) বলে প্রাথমিক অনুমান।
[আরও পড়ুন: তদন্ত ফল শূন্য! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় ইডি-সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতি সিনহার]
এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। ওই যুবতী কি রাতের অন্ধকারে সীমান্ত রক্ষীদের নজর এড়িয়ে এদেশে ঢুকেছিল? নাকি এপাড় থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল? তাহলে কি দালালের খপ্পরে পড়ল? মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যুবতীর মৃত্যুর ঘটনাটি বিএসএফের (BSF) ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তের আধিকারিকদের স্বরূপনগর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।