গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: শাশুড়ির সঙ্গে জামাইকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলায় তুমুল শোরগোল হাড়োয়ার গ্রামে। দু’জনকে হাতেনাতে ধরার পর গাছে বেঁধে মারধরের (Lynching) অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁদের সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা হাড়োয়া (Haroa) থানার মহিষ্টিকারী কলবাড়ি এলাকার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের যুবকের সঙ্গে গ্রামেরই বছর চল্লিশের এক গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রায় পাঁচ বছর ধরে। সেই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে ইতিমধ্যে তাঁরা তিন মাস দিঘাতেও (Digha) কাটিয়ে এসেছেন। বিবাহ বহির্ভূত এই সম্পর্ক (Extra Marrital Affair) বাঁচিয়ে রাখতে আবার অন্য পরিকল্পনা করেন বধূ। তাঁর নিজের ২১ বছরের মেয়ের সঙ্গে ওই যুবকের বিয়ে দেয়। বিয়ের ছ’মাস পর জানতে পারেন, মায়ের সঙ্গে স্বামীর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবি, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আংশিক কর্মবিরতির ডাক সরকারি কর্মীদের]
এরপর ২১ বছরের যুবতী তাঁর মায়ের সঙ্গে নিজের স্বামীর শারীরিক সম্পর্ক হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তিনি গ্রামবাসীদের খবর দেন। তাঁরাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা এসে শাশুড়ি-জামাইকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। পাশাপাশি দু’জনকে সামাজিক বয়কটের (Socially Boycott) ডাক দিয়ে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জামাই ও শাশুড়িকে উদ্ধার করে হাড়োয়া থানায় নিয়ে আসে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে গ্রামে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। যদিও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে গ্রামে।