সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ডিএসপির পর এবার SAIL-এর কারখানায় দুর্ঘটনা। ফের গলিত লোহা পড়ে ঝলসে গেলেন এক শ্রমিক। রবিবার রাতে দুর্গাপুরে (Durgapur) সেইলের অধীনস্থ দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানায় রাতের কাজ করতে এসেছিলেন এএসপি কারখানার এসএমএস বিভাগের স্থায়ী কর্মী ঋষিরাজ দাস। আচমকাই হট মেটাল ছিটকে যাওয়ায় দগ্ধ হন তিনি। জানা যাচ্ছে, ল্যাডেলে করে হট মেটাল (Hot Metal) নিয়ে যাওয়ার সময়ে সেই ল্যাডেল আচমকা কাত হয়ে পড়ে যায়। ল্যাডেল থেকে গরম, গলিত লোহা পড়ে যায় ঋষিরাজের উপরে। কোনরকম তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁর। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় (DSP) উত্তপ্ত গলিত তরল লোহা ছলকে পড়ার কারণে ৫ জন শ্রমিক গুরুতর দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁদের। রবিবার এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তথা দলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, CITU সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা চিফ জেনারেল ম্যানেজার (নগর পরিষেবা) বিকাশ মানবাটি। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। শ্রমিক নিরাপত্তার (Security) বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন।
[আরও পড়ুন: নজরে দুই মেদিনীপুর, একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী]
এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দুর্গাপুরের দুটি রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানায় একই ধরনের দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ওয়াকিবহাল মহলের মত, দীর্ঘ পুরনো হয়ে যাওয়া এই কারখানার বহু যন্ত্রপাতির আধুনিকীকরণের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা এবং মিশ্র ইস্পাত কারখানা রাষ্ট্রায়ত্ত। এই দুই কারখানারই আশু আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। তা নইলে এই দুই কারখানা কার্যত শ্রমিকদের কাছে এখন আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে।