সুমন করাতি, হুগলি: বিভীষিকার ১৬ দিন। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে এখনও আটকে বাংলার তিন-সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বার বার থমকে যাচ্ছে উদ্ধারকাজ। কবে আদৌ উদ্ধার করা যাবে তাঁদের, এখনও উত্তর অধরা। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপ পোদ্দার। “ওঁদের জীবনের কোনও দাম নেই? প্রযুক্তি কোথায়?”, প্রশ্ন তাঁর।
হুগলির পুরশুরার নিমডাঙ্গির জয়দেব প্রামাণিক এবং হরিণখালির বাসিন্দা সৌরভ পাখিরা এখনও উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে। চরম উৎকণ্ঠায় দুটি পরিবার। নাওয়া খাওয়া ছেড়েছেন ওই দুই যুবকের মা-বাবা। যতক্ষণ না উদ্ধারকাজ শেষ হচ্ছে, ততদিন যেন দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। বিপদগ্রস্তদের পাশে তৃণমূল। রবিবার তাঁদের বাড়িতে যান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। দুজনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন। এদিন সাংসদ নিজের হাতে জয়দেব প্রামাণিকের মাকে গ্লুকোজ খাওয়ান।
[আরও পড়ুন: NRS কাণ্ডের ছায়া, শিলিগুড়িতে খাবারে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’]
তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, “এতদিন ধরে ছেলেগুলো ওখানে আটকে আছে এটা খুবই দুঃখের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সব সময় বিষয়টির দিকে নজর রেখেছেন। এই দুই পরিবারের পাশে মা-মাটি-মানুষের সরকার আছে।” উদ্ধারকাজ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, “ওঁদের জীবনের কোনও দাম নেই? প্রযুক্তি কোথায়?”
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল থেকে ফের আড়াআড়িভাবে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। সহযোগিতা করছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই পর্যায়ে সুড়ঙ্গের ছাদ থেকে যাতে নতুন করে ধস না নামে তার জন্য ছাদ বরাবর ছাতার মতো বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সুড়ঙ্গের ভিতর বিকল হয়ে যাওয়া ‘অগার’ মেশিনকে কেটে বের করে আনার কাজ চলছে। শনিবার রাত ২টো নাগাদ হায়দরাবাদ থেকে উত্তরকাশীতে উড়িয়ে আনা হয় ম্যাগমা কাটার। যা দিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরে অগার মেশিন কাটা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো হয়েছে বিএসএনএলের ল্যান্ডলাইনও। যাতে আটকে থাকা শ্রমিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
দেখুন ভিডিও: