কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: সোশ্যাল মিডিয়ায় সপ্তাহখানেকের আলাপ। মন দেওয়া নেওয়াও হয়ে গিয়েছে। বাকি ছিল শুধু মুখোমুখি সাক্ষাৎ। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বোরখা পরে গার্লস হস্টেলেই চলে আসেন যুবক। ঘরে ঢুকেও পড়েন। তবে বাদ সাধল পুরুষের জুতো। তার জেরেই ধরা পড়ে যান যুবক। উত্তম মধ্যম মারধরও করা হয় তাঁকে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর (Berhampore) থানার পুলিশ যুবককে উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আরও একবার গার্লস হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা সাগির জিয়ার গার্লস হস্টেলেই থাকতেন তরুণী। তিনি জানান, শুক্রবার প্রথমে বোরখা পড়ে একজন আসেন। তরুণীর খোঁজ নেন। বোরখা পরিহিত যুবককে তরুণী ভেবে ঘরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী যুবকটি তরুণীর ঘরে ঢুকে পড়েন। ঘরে ঢোকার সময় নিজের পায়ে থাকা জুতো খোলে যুবক। আর তাতেই পর্দাফাঁস। পুরুষের জুতো দেখে সকলেই বুঝে যান বোরখা পড়ে আসা ছদ্মবেশী তরুণী আদতে যুবক। জোর করে সেই সময় ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়েন গার্লস হস্টেলের প্রায় সকলেই। টেনেহিঁচড়ে যুবককে ঘর থেকে বের করা হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। খবর যায় পুলিশের কানেও। তড়িঘড়ি বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলা: দিল্লিতে ED দপ্তরে হাজিরা দেবের, টানা ৫ ঘণ্টা জেরা]
গার্লস হস্টেলের মালিক বলেন, “মেদিনীপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে তিনি বহরমপুরে এসেছিলেন। সাতদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে যুবকের পরিচয় হয়। ছাত্রীদের মেসে পুরুষদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাই বোরখা পরে ওই যুবক ঘরে ঢুকেছিলেন। বাইরে পুরুষদের জুতো দেখে সন্দেহ হয়। ঘরে ঢুকে দেখা যায় ওই যুবককে। এরপর বাইরে বের করে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
এর আগে গত ২ মে বহরমপুরে প্রেমিকের এলোপাথাড়ি ধারাল অস্ত্রের কোপে প্রাণ যায় গার্লস হস্টেলে থাকা এক ছাত্রীর। সেই ঘটনার পর গার্লস হস্টেলগুলির নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বোরখা পড়ে গার্লস হস্টেলে যুবক ঢুকে পড়ার ঘটনায় আরও একবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।